এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রীর আশ্বাসেও হয়নি প্রতিশ্রুতি পূরণ, জবাব দিতে মুখিয়ে ভোটাররা!

মমতার একাধিক হেভিওয়েট মন্ত্রীর আশ্বাসেও হয়নি প্রতিশ্রুতি পূরণ, জবাব দিতে মুখিয়ে ভোটাররা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোট বড় বালাই। ভোটের আগে বারবার এসে জনতা জনার্দনের মন জয়ের চেষ্টা করেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। গত লোকসভা ভোটের সময় তৃণমূল প্রার্থী মৌসম বেনজির নূরের নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী চাচোলকে পৌরসভা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

বর্তমানে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তবে শুধু শুভেন্দুবাবু নয়, বিভিন্ন বার নির্বাচনের আগে এসে রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী চাচোলকে পৌরসভা করার কথা জানিয়েছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই আশা পূরণ হয়নি। যার ফলে আগামী 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে ভোটবাক্সে এর জবাব দিতে মুখিয়ে রয়েছেন ভোটাররা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভোটের ইস্যু হিসেবে এবারেও চাচোলকে পৌরসভা গঠন হিসেবে তুলে ধরবে প্রতিটি রাজনৈতিক দল। চাচোলে বিভিন্ন অফিস, স্কুল-কলেজ, আদালত থাকলেও এই শহর পৌরসভার তকমা পায়নি। যার ফলে সাধারণ মানুষদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, চাচোলকে যেন পৌরসভা করা হয়। কিন্তু বারবার নির্বাচনের আগে শাসক থেকে শুরু করে বিরোধী দলের অনেক নেতা ভোট চাইতে এসে সেই প্রতিশ্রুতি দিলেও, তা পূরণ করেননি কেউ।

তাই এবার ব্যালটবক্সে প্রতিশ্রুতি দেওয়া সেই সমস্ত নেতাকর্মীদের জবাব দিতে চায় জনতা জনার্দন। ভোট চাইতে এসে রাজ্য সরকারের একাধিক মন্ত্রী সেই ব্যাপারে আশ্বাস দিলেও, কেন তারা পরে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ভুলে গিয়েছেন, এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। এদিন প্রসঙ্গে চাচোল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, “পৌরসভা হলে এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়ন হবে। যথেষ্ট ফান্ড না থাকায় সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে এই ব্যাপারে চাচোলের কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, “চাচোল মহকুমা গঠনের পর প্রায় 18 বছর পার হয়ে গেল। মহকুমায় একটাও পৌরসভা নেই। বিধানসভা এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছি। তাতেও কাজ হয়নি। পৌরসভার না হওয়ার পেছনে রাজনৈতিক কারণ আছে।” যদিও বা বিরোধী দলের এই দাবিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসকদল। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সুমালা আগরওয়াল বলেন, “এলাকায় শাসকদলের কোনো বিধায়ক বা সংসদ না থাকার কারণেই এই দাবি যথাযথভাবে উত্থাপিত হয়নি।”

তবে যে রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, পরিস্থিতি যে ক্রমশ জটিল হয়ে উঠেছে চাচোলে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এবার ভোটবাক্সে পৌরসভা না হওয়ার ইস্যু যে প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে ব্যাপক পরিমাণে অসুবিধায় ফেলবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, রাজনৈতিক দলগুলো প্রচার করতে এলে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ প্রশমিত করতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!