এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতার ঘোষণার পরেই বিজেপির পাল্টা চ্যালেঞ্জ- তৃণমূল সুপ্রীমোকে হারাতে যেকোনো প্রার্থী প্রস্তুত

মমতার ঘোষণার পরেই বিজেপির পাল্টা চ্যালেঞ্জ- তৃণমূল সুপ্রীমোকে হারাতে যেকোনো প্রার্থী প্রস্তুত


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নন্দীগ্রাম পর্ব নিয়ে জমজমাট বাংলার রাজ্য রাজনীতি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আজকে নন্দীগ্রাম সভা বাংলার রাজনীতির উত্তাপকে যে আরও বাড়িয়ে দিলো, সে ব্যাপারে নিঃসন্দেহ বিশেষজ্ঞরা। এদিন নন্দীগ্রামের হাঈ ভোল্টেজ সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী নন্দীগ্রামের পদপ্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করেন। আর তারপরই শুরু হয়ে গেছে রাজ্য জুড়ে তীব্র আলোড়ন। এরই মাঝে বিরোধী শিবির থেকে শুরু হয়ে গেছে তৃণমূল নেত্রীর প্রতি তীব্র কটাক্ষ। পাশাপাশি গেরুয়া শিবির থেকেও জানিয়ে দেওয়া হল মমতা ব্যানার্জ্জীর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে যেকোন প্রার্থী প্রস্তুত।

এই অবস্থায় রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, তৃণমূল নেত্রী কার্যত বিজেপি এবং শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেললেন। কিন্তু গেরুয়া শিবিরও পিছিয়ে থাকার কথা নয়। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারী নিজে ঘোষণা করেছেন, নন্দীগ্রামে তৃণমূল নেত্রীকে হারানো না গেলে তিনি নিজে রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। পাশাপাশি আরেক বিজেপি নেতা মুকুল রায় এদিন জানান, নন্দীগ্রাম থেকে সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে একথা মুকুল রায় নন, রাজ্যের বিরোধীরা একইসুরে এই কথাই বলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কারণ সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম থেকেই এরাজ্যে উত্থান হয়েছে তৃণমূল শক্তির। আর সেখান থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পৌঁছে গেছেন বাংলার মসনদে। অন্যদিকে বিজেপি নেতা মুকুল রায় এদিন দাবি করেন, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার টের পেয়েছেন গদি হারানোর ভয়। আর তাই তিনি আগেভাগে নন্দীগ্রাম থেকে নিজেকে প্রার্থী ঘোষণা করলেন। তবে বিজেপি তাতে যে রীতিমতো বিন্দুমাত্র চিন্তিত নয়, সেকথাও জানিয়ে দিলেন এদিন মুকুল রায়। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, বিজেপির যে কোনো প্রার্থী তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে এই মুহূর্তে প্রস্তুত।

অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রার্থী ঘোষণাকে হাতিয়ার করে এদিন জানিয়েছেন, তৃণমূল বরাবরই প্রাইভেট পার্টি। আর সেকারণেই একজন প্রার্থী হবার কথা এভাবে ঘোষণা করলেন। প্রসঙ্গত বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, গেরুয়া শিবিরের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী এখনো ঠিক না হওয়া কিন্তু রাজ্য বিজেপির অন্যতম দুর্বলতা। আর সেই দুর্বলতা একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির কে না চাপের মুখে ফেলে! তবে সেক্ষেত্রে বিজেপি প্রথম থেকেই বলে আসছে, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই তাঁদের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঠিক হবে। সেক্ষেত্রে রাজ্য জয়ের প্রয়োজন আগে।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!