এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > টিকিট পাবেন শুনেই মাঠে নেমে বিজেপির ঘর ভাঙা শুরু বিধায়কের, মমতার মাস্টারস্ট্রোকে কাজ

টিকিট পাবেন শুনেই মাঠে নেমে বিজেপির ঘর ভাঙা শুরু বিধায়কের, মমতার মাস্টারস্ট্রোকে কাজ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এক রাতের মধ্যেই ভোলবদল তৃণমূল শিবিরে। গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জরুরি ভিত্তিতে এক বৈঠক করেন ভার্চুয়ালি তৃণমূল শিবিরে। সেই বৈঠকে দলীয় সাংসদ, বিধায়ক, নেতারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে এই বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী তাঁর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বলে খবর। রীতিমত কড়া ভাষায় বিধায়কদের সমালোচনা করেন তিনি বলে জানা গেছে। আর তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর ভোকাল টনিক অনুযায়ী কাজ শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, রাতারাতি এবার বিজেপির ও সিপিএমের ঘরে ভাঙন ধরিয়ে প্রায় তিন শতাধিক কর্মীকে দলে নিয়ে এলেন বিধায়ক গুলশন মল্লিক। সম্প্রতি দলীয় ভার্চুয়াল বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তুলেছিলেন, যেভাবে বিজেপি শিবিরে 2021 এর দিকে নজর রেখে রাজনৈতিক কার্যকলাপ তুঙ্গে উঠেছে, বিরোধী নেতা নেত্রীরা সবসময় খবরের শিরোনামে থাকছেন, সেখানে তৃণমূল নেতারা ঘরে বসে আছেন কিভাবে আর কেন? আর দলীয় নেত্রীর এই কড়া প্রশ্নের উত্তরে এবার মাঠে নেমেছেন তৃণমূল বিধায়করা বলে মনে করা হচ্ছে।

উল্লেখযোগ্যভাবে দলীয় নেত্রীর কড়া মন্তব্যের পরেই হাওড়ার পাঁচলায় রাতারাতি বিজেপি সিপিএম ছেড়ে প্রায় 300 কর্মী যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ঘরে বলে খবর। হাওড়ার পাঁচলা বিধানসভার তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে এই দলবদল সম্পন্ন হয় বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, যাঁরা দলে যোগদান করেছেন, তাঁদের হাতে পাঁচলার বিধায়ক গুলশন মল্লিক দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে বিধায়ক গুলশন মল্লিক ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃনমূল নেতা মাহবুব আলম, বাবলু পুরকাইত, শুভ মাইতি সহ অন্যান্যরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে জানা গেছে, হাওড়ার শ্যামপুর বারগ্রাম অঞ্চলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্বে বারগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের নড়াইল থেকে বিভিন্ন দল থেকে প্রায় শ খানেক কর্মী যোগদান করেছেন এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে। এরা প্রত্যেকেই বিজেপি কর্মী ছিলেন বলে জানা গেছে। দলে যোগ দিয়েই তাঁরা জানিয়েছেন, বিজেপি নেতৃত্ত্বের অধীনে তাঁরা কাজ করতে পারছিলেন না। আর তাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা এবার তৃণমূলে যোগ দিলেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে তৃণমূল নেত্রী ভোকাল টনিক দিয়ে তাঁর দলীয় নেতা নেত্রীদের উদ্বুদ্ধ করলেন তা কিন্তু আপাতদৃষ্টিতে যথেষ্ট কার্যকর বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাতারাতি যেভাবে বিজেপি সহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলে তৃণমূল বিধায়ক নেতারা ভাঙন ধরাতে শুরু করেছেন, তা কিন্তু যথেষ্ট চিন্তায় ফেলবে অন্যান্য দলকে। তবে সে ক্ষেত্রে রাজ্যের বিরোধী শক্তিরাও পিছিয়ে থাকার নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে মসনদ দখল করতে এই মুহূর্তে মরিয়া চেষ্টা চলছে সবার মধ্যেই সে কথা স্পষ্ট।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!