এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার কারণে তৃণমূল ছাড়তে চেয়েছিলেন অনুব্রত? বিস্ফোরক তথ্য! জানলে চমকে যাবেন!

মমতার কারণে তৃণমূল ছাড়তে চেয়েছিলেন অনুব্রত? বিস্ফোরক তথ্য! জানলে চমকে যাবেন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দল এবং নেত্রী অন্তঃপ্রাণ তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন তাকে যে কথা বলেন, সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেন ভাই কেষ্ট। কিন্তু সেই অনুব্রত মণ্ডল ই নাকি একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি কথায় দল ছাড়তে চেয়েছিলেন! শুনতে আশ্চর্য লাগলেও এটাই সত্যি। বারবার বিভিন্ন টেলিভিশন মিডিয়ায় সাক্ষাৎকারে অনুব্রতবাবু বলেছিলেন, তার কোনো লোভ নেই। তিনি শুধুমাত্র দলের কাজ করতে চান। একবার নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে সাংসদ হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তাকে সরাসরি নাকচ করে দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। জানিয়ে দিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি তাকে এই সমস্ত কথা বলেন, তাহলে তিনি দল ছাড়তে কুণ্ঠাবোধ করবেন না। আর সেই কথাই প্রকাশ্য সভায় তুলে ধরলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের পাশে আদিবাসী মিলনমেলায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাকে সাংসদ হওয়ার প্রস্তাব দিলে তিনি সরাসরি দল ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন বলে জানিয়ে দেন। এদিন এই প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “আমি বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী নই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে রাজ্যসভার সাংসদ করতে চেয়েছিলেন। আমি বলেছিলাম, দল ছেড়ে দেব। আমি মানুষের সঙ্গে থাকতে চাই। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন সাধারণ সৈনিক। আমাকে দিদি যা করতে বলেন, আমি তাই করি। আমার কোনো লোভ নেই।”

 

একাংশ বলছেন, আজকালকার দিনে সত্যিই এই রকম মানুষের দেখা পাওয়া যায় না। যখন পদের জন্য সব জায়গায় নেতারা ভিড় করেন, তখন কার্যত ব্যতিক্রমী অনুব্রত মণ্ডল। যিনি নেত্রী সাংসদ করতে চাইলেও কার্যত দল ছেড়ে দেওয়ার মতো কথা বলতে পারেন। অর্থাৎ তার যে কোনো লোভ নেই, তিনি যে শুধুমাত্র দলের সৈনিক হিসেবেই কাজ করে যেতে চান, তা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!