এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতার খাসতালুকে বিক্ষোভের মুখে ফিরহাদ, অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির!

মমতার খাসতালুকে বিক্ষোভের মুখে ফিরহাদ, অস্বস্তিতে ঘাসফুল শিবির!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে স্কাইওয়াক প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ফলে ব্যাপক খুশি মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে শুরু করে ভক্তরা। কিন্তু কলকাতার এক প্রাণকেন্দ্র যদি দক্ষিণেশ্বর হয়, তাহলে আর এক প্রাণকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সতীপীঠ কালীঘাট। কিন্তু সেই কালীঘাটে এখনও পর্যন্ত স্কাইওয়াক নির্মাণ হয়নি। দীর্ঘদিন ধরেই এখানকার ভক্ত থেকে শুরু করে মন্দির কর্তৃপক্ষের আবেদন, এখানে যাতে দ্রুত স্কাইওয়াক নির্মাণ করা হয়। তবে হকারদের সমস্যার কারণে তা নিয়ে বিভিন্ন জটিলতা সামনে এসেছে। আর এবার সেই কালীঘাটে স্কাইওয়াকের নির্মিত কাজ খতিয়ে দেখতে গিয়ে ব্যাপক সমস্যার মুখে পড়তে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। যাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সূত্রের খবর, কালীঘাটে স্কাইওয়াক নির্মিত হলেও, হকারদের পুনর্বাসন নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়। এদিন ফিরহাদ হাকিম সেখানে পৌছতেই স্টল দেওয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে আসতে শুরু করে। যেখানে হকারদের একাংশ তাকে ঘিরে তাদের আপত্তির কথা তুলে ধরেন। কালীঘাটে হকারদের জন্য হাজরা পার্কে একটি অস্থায়ী দোকান করা হয়েছে‌। যেখানে মোট 180 জনের মধ্যে 154 জন হকার সেই দোকান পেয়ে গিয়েছেন। তবে বাকি যারা দোকান পাননি, তাদের নিয়েই তৈরি হয়েছে জটিলতা। স্বাভাবিকভাবেই এদিন ফিরহাদ হাকিমকে পাশে পেয়ে অনেক হকার তাদের ক্ষোভ জানাতে শুরু করেন। যার ফলে ব্যাপক চাপে পড়ে যান কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী। যদিও বা গোটা পরিস্থিতির সমাধান করার আশ্বাস দেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কালীঘাট এবং তৎসংলগ্ন এলাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাসতালুক বলেই পরিচিত। এই কালীঘাটেই বাড়ি তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর। কিন্তু সেই কালীঘাট মন্দিরের উন্নতি করতে দক্ষিণেশ্বরের কায়দায় সেখানে স্কাইওয়াক প্রকল্প শুরু করার চেষ্টা হয়েছিল। তবে হকারদের জন্য নির্মিত স্টল বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই অভিযোগ ফিরহাদ হাকিমের সামনে তুলে ধরতেই রীতিমতো চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এখন হকারদের সেই ক্ষোভকে প্রশমিত করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!