এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার “খেলা হবে”কে জৌলুসহীন করতে আবেগের আশ্রয় বিজেপির, বড় কর্মসূচির ঘোষণা!

মমতার “খেলা হবে”কে জৌলুসহীন করতে আবেগের আশ্রয় বিজেপির, বড় কর্মসূচির ঘোষণা!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-  পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও, প্রতিমুহূর্তে শাসকদলের চোখে চোখ রেখে বিরোধী শক্তি হিসেবে লড়াই করে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তৃণমূলের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক যে কোনো কর্মসূচি নেওয়া হলেই তার পাল্টা নিজেদের মতো করে কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে গেরুয়া শিবিরকে। অর্থাৎ কোনোভাবেই যে তৃণমূল কংগ্রেসকে তারা একচুল জায়গা ছেড়ে দেবে না, তা বুঝিয়ে দিচ্ছে বিজেপি। আর এই পরিস্থিতিতে এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী 16 আগস্ট রাজ্য জুড়ে পালিত হতে চলেছে ‘খেলা হবে’ দিবস। কিন্তু সেই দিনটিকেই হাতিয়ার করে এবার অন্য এক কর্মসূচি নিয়ে ময়দানে নামতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

যেখানে পশ্চিমবঙ্গের আবেগের কথা তুলে ধরে এই 16 আগস্টে পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস পালনের কর্মসূচি নিয়েছে গেরুয়া শিবির। যার ফলে একাংশ বলছেন, তৃণমূলের নির্বাচনী স্লোগান ছিল এই খেলা হবে। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতা দখলের পর সেই খেলা হবে দিবস পালন করা হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে আগামী 16 তারিখে সেই “খেলা হবে” দিবস পালন করবে রাজ্য সরকার। কিন্তু সেই দিন যাতে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচিকে ফিকে করে দেওয়া যায়, তার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে অন্য এক কর্মসূচিকে নিয়ে এসে পরিস্থিতিকে নিজেদের অনুকূলে আনার চেষ্টা হচ্ছে।

কিন্তু কী সেই কর্মসূচি পালন করতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি? জানা গিয়েছে, সরকারের পক্ষ থেকে যখন খেলা হবে দিবস পালন করা হবে, তখন এই দিনটিকে স্মরণ রেখে পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস পালন করবে গেরুয়া শিবির। কিন্তু কী কারণে বিজেপির এই কর্মসূচি? গেরুয়া শিবিরের দাবি, 1946 সালে এই 16 আগস্টে মুসলিম লিগ ডাইরেক্ট অ্যাকশন ডে পালন করেছিল। যার ফলে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস শুরু হয়েছিল। তাই এই দিনটিকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে তৃণমূল যখন খেলা হবে দিবস পালন করবে, তখন পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস পালন করে অতীতের বিষয় তুলে ধরে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আবেগান্বিত করার কৌশল নিয়েছে পদ্ম শিবির বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি কে নিয়ে শাসক বনাম বিরোধীদের মধ্যে তরজা চরমে উঠেছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে যুক্তি দেওয়া হচ্ছে খেলা হবে দিবস পালন করা হচ্ছে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে 1980 সালে দুই বড় ক্লাবের মধ্যে যে সংঘর্ষ তৈরি হয়েছিল তাতে মৃত্যু হয়েছিল 16 জন ব্যক্তির আর সেই কারণেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে এছাড়া হবে দিবস করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যদিও এই বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবসের স্বপক্ষে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, “টক্কর দেওয়ার মতো কোনো কর্মসূচি নেই। 1946 সালে কলকাতা ও আশেপাশের এলাকায় কি কি হয়েছিল, তা বর্তমান প্রজন্মকে মনে করাতেই আমাদের এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

এটা তো মানতে হবে, অতীতের তুলনায় এখন দলের শক্তি বাংলায় অনেক বেড়েছে। 77 টি বিধানসভায় আমরা জয়লাভ করেছি। সেই তুলনায় বড় মাপের কর্মসূচি হওয়াটাই তো স্বাভাবিক।” তবে বিজেপি নেতারা মুখে যে কথাই বলুন না কেন, তৃণমূলকে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াইয়ের মুখে ফেলতেই যে বিজেপির এই কৌশল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। তবে তৃণমূলের “খেলা হবে” দিবসের পাল্টা বিজেপির “পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস”-এর লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত কারা জয়যুক্ত হয়, কাদের কর্মসূচিতে সবথেকে বেশি সাফল্য আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!