এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ‘মমতার কল্যাণেই রাজ্যে বিজেপির রমরমা’ বিস্ফোরক আব্বাস সিদ্দিকী!

‘মমতার কল্যাণেই রাজ্যে বিজেপির রমরমা’ বিস্ফোরক আব্বাস সিদ্দিকী!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূল এবং বিজেপির তরজা যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, ঠিক তখনই বিজেপির বাড়বাড়ন্তের কারণ একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দাবি করলেন আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকী। বলা বাহুল্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে প্রধান লড়াই হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে। সেদিক থেকে অনেকটাই পিছনে রয়েছে সংযুক্ত মোর্চা। কিন্তু বারেবারেই সিপিএম ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপি একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ।

শুধু তাই নয়, রাজ্যে বিজেপির এই বাড়বাড়ন্তের পেছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতিকে সবথেকে বেশি দায়ী করেছে বামেরা। আর এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্য সভা থেকে দ্বিতীয় দফার নির্বাচনের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে বলে দাবি করলেন সংযুক্ত মোর্চার অন্যতম জোট শরিক নেতা আব্বাস সিদ্দিকী। যা বর্তমান সময় রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মেটিয়াবুরুজের বাদামতলার একটি জনসভায় উপস্থিত হন আইএসএফ নেতা আব্বাস সিদ্দিকী। আর সেখানেই এই ব্যাপারে অভিযোগ করতে দেখা যায় তাকে। তিনি বলেন, “2011 সালের আগে বাংলায় কি বিজেপি ছিল? ছিল না। টিএমসি এল। তারপর এই বিজেপি আসল। তৃণমূলের যে নেতাগুলো ছিল, তারা এখন বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। মেটিয়াবুরুজের প্রাক্তন বিধায়কও কিন্তু বিজেপিতে চলে যাবে। আজ রাজ্যে হিন্দু মুসলমান সম্পর্ক খারাপ হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য। এতদিন দুর্গাপুজো হয়েছে, মহরম হয়েছে। কোনোদিন বিভেদ ছিল না। আজ বিজেপি আসার মূল কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রেডরোডে দাঁড়িয়ে বলেছেন, যে গরু দুধ দেয়, সেই গরুর লাথি খাওয়া ভালো। তার মানে মুসলিমরা গরু? মুসলিমদের উপর নির্ভর করে রয়েছেন দিদি। তাই লাথি না গুতিয়ে দেওয়ার সরকার আছে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশ্লেষকরা বলছেন, আব্বাস সিদ্দিকী এই মন্তব্য করে একদিকে যেমন বিজেপিকে চাপে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলেন, ঠিক তেমনই রাজ্যে তৃণমূলের দিকে থাকা সংখ্যালঘু ভোটকে নিজেদের দিকে আনার চেষ্টা করলেন। আর সেই কারণেই রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য তৃণমূল কংগ্রেস দায়ী বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা গেল তাকে।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, এবারে সংখ্যালঘু ভোট বিধানসভা নির্বাচনে সবথেকে বড় ফ্যাক্টর হিসেবে দাঁড়াবে। গত লোকসভা নির্বাচনে এই সংখ্যালঘু ভোটের সিংহভাগ তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে গিয়েছিল। কিন্তু এবারে সংখ্যালঘু নেতা আব্বাস সিদ্দিকী বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে লড়াই করছেন। সেদিক থেকে সংখ্যালঘু ভোটের একাংশ তার দিকে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাকি ভোট নিয়ে চিন্তা রয়েছে।

তাই সেই ভোট যাতে তৃনমূলের দিকে না যায়, তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যই রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত বলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের মনে তৃণমূল সম্পর্কে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করার কৌশল আব্বাস সিদ্দিকী। আর সেই কারণেই রাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের জন্য তৃণমূল নেত্রীকে দায়ী করে রীতিমত শোরগোল তুলে দিলেন তিনি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!