এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মমতার গণভোটের পাল্টা পশ্চিমবঙ্গে গণভোটের দাবি মুকুলের, কে জিতবে! জোর তরজা

মমতার গণভোটের পাল্টা পশ্চিমবঙ্গে গণভোটের দাবি মুকুলের, কে জিতবে! জোর তরজা


 

2019 এর লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের জন্য বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কেন্দ্রের ক্ষমতায় বসেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তবে মানুষের ভোটে বিজেপি ক্ষমতায় এলেও, তারা বিভিন্ন জনবিরোধী কাজ করছে বলে মাঝেমধ্যেই তার বিরোধিতা করতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে।

বিজেপি বিরোধী দল বলে পরিচিত এই রাজনৈতিক দলটি বর্তমানে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় সরব হয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলার রাজধানী কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে মিছিল করে সেই নাগরিকপঞ্জি সংশোধনী আইন বাতিলের দাবি তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কেন্দ্রে বিজেপি সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও, এই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে এদিন কার্যত গেরুয়া শিবিরের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে দেখা দিতে দেখা যায় বাংলার প্রশাসনিক প্রধানকে। সূত্রের খবর, এদিন রানী রাসমণির সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সারা ভারতবর্ষে একটা গণভোট হয়ে যাক। রাষ্ট্রসংঘ করবে। মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিরা থাকবে। তাদের নিয়ে কমিটি হোক। বিজেপির থাকার দরকার নেই।

তৃণমূলের থাকার দরকার নেই। হিন্দু-মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টানেরও থাকার দরকার নেই।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে গণভোট করানোর দাবি তুলে বিজেপিকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে ভোটাভুটির কথা বললেও, তা নিয়ে পাল্টা তাকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের প্রাক্তন সৈনিক মুকুল রায়।

সূত্রের খবর, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গণভোটের দাবি বিরুদ্ধে সওয়াল করে বিজেপির মুকুল রায় বলেন, “আমি বলছি রাষ্ট্রসঙ্ঘের নজরদারিতে পশ্চিমবঙ্গে একটা গণভোট হোক। কত লোক ওনাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান! একটা লোকও ওনাকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাইবে না। উনি আগে সংবিধান মেনে পদত্যাগ করুন। দলের নেত্রী হিসেবে আন্দোলন করুন। উনি পদত্যাগ করবেন না। তাহলে চেয়ার চলে যাবে। সবাইকে আহ্বান করে 34 থেকে নেমে 22 হয়েছে। সবাই এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আছে। কবে বাংলা থেকে মমতাকে বিদায় করবে।”

আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এনআরসির বিরুদ্ধে গণভোটের দাবিতে যখন বিজেপি কিছুটা ব্যাকফুটে পড়েছিল, তখন মুকুল রায়ের এই দাবি বিজেপিকে উজ্জীবিত করে দিল বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। নিজের প্রাক্তন নেত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়ে মুকুলবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদের দিকেই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন। এখন দেখার বিষয়, নিজের দলের প্রাক্তন সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায়ের এই চ্যালেঞ্জ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রহণ করেন কিনা! যার দিকে নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!