এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বাংলার কৃষকদের ‘আচ্ছে দিন’ নিয়ে মমতার সরকারকে বড়সড় ‘সার্টিফিকেট’ দিতে বাধ্য হল কেন্দ্র সরকার

বাংলার কৃষকদের ‘আচ্ছে দিন’ নিয়ে মমতার সরকারকে বড়সড় ‘সার্টিফিকেট’ দিতে বাধ্য হল কেন্দ্র সরকার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট:- কেন্দ্রের কৃষকদের জন্য সুখবর না হলেও রাজ্যের কৃষকদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথেষ্ট কাজ করে চলেছেন তারই সরকারিভাবে সীলমোহর দিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। তাদের কথায় উঠে এলো রাজ্যের কৃষকদের আচ্ছে দিনের কথা যেখানে বিগত দু বছরে একজন কৃষক আত্মহত্যা করেনি। আর এই সমস্ত কাজের শ্রেয় যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর উপর। যেখানে সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষকদের ওপর অত্যাচারের ছবি ফুটে উঠেছে, কৃষকের আত্মহত্যা, অনশন, প্রতিবাদ লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সেখানে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের এমন সুদিনের কথা শুনে নিশ্চয়ই কেন্দ্র সরকার নড়েচড়ে বসলেন এমনই মনে করা যাচ্ছে।

সারা দেশে কৃষকের দুরবস্থার কথা বলতে গিয়ে দেখা যায়, কৃষক আত্মহত্যার নিরিখে দেশের মধ্যে প্রথমের সারিতে রয়েছে কংগ্রেস ও শিবসেনা শাসিত রাজ্য মহারাষ্ট্র, বিজেপি শাসিত কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা। গোটা দেশে ৪২ হাজার ৪৮০ জন কৃষক ও দিনমজুর আত্মহত্যা করেছেন। যাদের মধ্যে ২০১৮ সালে ১০ হাজার ৩৫৭জন কৃষক ও দিনমজুর আত্মহত্যা করেছিলেন। ২০১৯ সালে এই সংখ্যা হয় ১০ হাজার ২৮১জন। এদের মধ্যে ৪ হাজার ৩২৪ জন খেতমজুর রয়েছেন। আর কৃষকের হল ৫ হাজার ৯৫৭জন। এছাড়া পুরুষ ও মহিলা ভাগ করলে দেখা যায়, পুরুষ কৃষকদের মধ্যেই আত্মহত্যা করার প্রবণতা অনেক বেশি। ২০১৯ সালে ৫৫৬৩ পুরুষ কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। অন্যদিকে, আত্মঘাতী কৃষক মহিলার সংখ্যা ৩৯৪ জন। সুতরাং গত এক বছরে দেশের মোট আত্মহত্যাকারী মানুষের মধ্যে ৭.৪ শতাংশই কৃষক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিচার করে দেখতে গেলে দেখা যায় কেন্দ্র কোন রাজ্যে অবস্থিত কিন্তু কৃষকদের জন্য অনেক পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রয়েছে কৃষক বন্ধু নামে একটি প্রকল্প করা হয়। যেখানে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দুটি কিস্তিতে একর প্রতি বার্ষিক ৫০০০ টাকার আর্থিক সহায়তা দেবার ঘোষণা করেছে। এক্ষেত্রে খারিফ শস্যের সময় এবং রবিশস্যের মরশুমে এই খিস্তি দেওয়ার কথা বলা হয়। এছাড়া ১৮ থেকে ৬০বছর বয়সি যেকোনো কৃষক যদি যেকোনো কারণে মারা যান, তবে প্রতি পরিবার পিছু দু লক্ষ টাকা বিমার ব্যবস্থা করা হয়। এইভাবে এই প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫০ লক্ষ কৃষক রয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীর কিষান সম্মান নিধি নামের একটি প্রকল্পের কথা জানা যায়। যেখানে ভারত সরকার চাষীদের ন্যূনতম ৬০০০ টাকা সহায়তা করার কথা ঘোষণা করে। এক্ষেত্রে সরকারের উদ্দেশ্য ছিল ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের আয়ের পরিমাণ বাড়ানো, প্রতি ফসল চাষে আয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ফসলের স্বাস্থ্য ও উপযুক্ত ফলন নিশ্চিত করা এবং যে সমস্ত কৃষকরা মহাজনদের লোভের শিকার হয় তাদেরকে সেই মুশকিল থেকে বার করে নিয়ে আসা।

তবে সময় গেলেও দেশে কিন্তু কৃষকদের খুব একটা উন্নতি হয়েছে বলে সরকারি তরফ থেকে জানা যায়নি। সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের অবস্থার উন্নতির কথা কিন্তু প্রমাণ স্বরূপ বলা যায়। সেখানে সাত-আট বছরের কৃষকদের আয় তিনগুণ বেশি হওয়া থেকে শুরু করে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া, সরকারের তরফে সার, বীজ পাওয়া, সময়মত যেকোনো চাষ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে সাহায্য করার সঙ্গে সঙ্গে নানা ধরনের ছবি উঠে এসেছে। এরফলে কেন্দ্রের সরকারিভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বাহবা দিতে আর অসুবিধে হয়নি। উপরন্তু রাজ্য সরকার ৬ বছর ধরে কেন্দ্রের কৃষি কর্মন পুরষ্কার পেয়ে আসছে বলে জানা গেছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!