এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > মমতার নির্দেশ অমান্য করে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ, ত্রান বিলিতেও শাসক-বিরোধী তরজা!

মমতার নির্দেশ অমান্য করে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ, ত্রান বিলিতেও শাসক-বিরোধী তরজা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবারের ইয়াস নামক ভয়াবহ বিপর্যয় যাতে আমপানের মত না হয় এবং কোনরকম দুর্নীতি যাতে সামনে না আসে, তার জন্য প্রথম থেকেই তৎপর ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্ষেত্রে কোনো রকম রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের হাত দিয়ে নয়, সরাসরি প্রশাসনের হাত দিয়ে যাতে সাধারণ দুর্গত মানুষদের কাছে সাহায্য পৌঁছে যায়, তার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরেও বিভিন্ন জায়গায় দুর্নীতির খবর আসতে শুরু করেছিল।

আর সেই নিয়েই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ালো হাসনাবাদের ভবানীপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের শুলকুনি গ্রামে। যেখানে প্রশাসনিক আধিকারিকদের পক্ষ থেকে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের কাজ করা হলেও, সেখানে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য এবং তার স্বামী থাকার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত আপত্তি পোষণ করেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। আর তারপরেই তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ তৈরি হয়। যার জেরে ত্রাণ প্রক্রিয়ার কাজ কার্যত স্থগিত হয়ে যায়। স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশাসনকে দুর্নীতিমুক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও, এদিনের এই ঘটনা তার নির্দেশকে অমান্য করার শামিল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের কাজ করতে শুলকুনি গ্রামে আসেন প্রশাসনের আধিকারিকরা। কিন্তু সেখানে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য পিংকি সাউ এবং তার স্বামী মনোহর সাউকে। আর এরপরই বিজেপির পক্ষ থেকে এই গোটা ঘটনায় আপত্তি তোলা হয়। গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, যেখানে দুর্নীতি বন্ধ করতে প্রশাসনকে দিয়ে কাজ করার কথা বলছে সরকার, সেখানে কেন তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিরা এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন!

পরবর্তীতে গোটা ঘটনায় তৃণমূল এবং বিজেপির তরজা তৈরি হলে রীতিমত সেই কাজ স্থগিত করতে বাধ্য হয় প্রশাসনের কর্তা-ব্যক্তিরা। এদিকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপি কর্মী সন্তোশ সাউকে। এদিন তিনি বলেন, “আমরা বিজেপি করি বলে সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাই না। তাই বলেছিলাম তদন্ত করে লাভ নেই। সামান্য বিষয় নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।” স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনায় এলাকায় ক্রমশ উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন এই প্রসঙ্গে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি তারক ঘোষ বলেন, “সরকারের সিদ্ধান্ত, ক্ষতিপূরণ দেওয়া সংক্রান্ত কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ প্রশাসন বরদাস্ত করবে না। তা সত্ত্বেও সরকারি প্রতিনিধিদের সঙ্গে পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য এবং তার স্বামীকে দেখা যায়। সেই কারণে আমাদের দলের কর্মীদের মধ্যে ক্ষতিপূরণ পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।” যদিও বা বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হলেও, তা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য।

এদিন তিনি বলেন, “ওই গ্রামেই আমাদের বাড়ি। সরকারি কর্মীদের সঙ্গে আমরা ছিলাম না। তাদের উদ্দেশ্যে আপত্তিকর মন্তব্য করা হচ্ছে দেখে প্রতিবাদ করা হয়েছে‌। সরকারি তদন্তে যুক্ত থাকার প্রশ্নই উঠছে না। গোটা ঘটনা আমরা পুলিশকে জানিয়েছি।” একইবে সরকারি কর্মীদের সঙ্গে কোনোভাবেই তাদের জনপ্রতিনিধি ছিলেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক দেবেশ মন্ডল। বিশেষজ্ঞদের একাংশের প্রশ্ন, গোটা বিষয়ে কোনো সমস্যার সৃষ্টিই হত না, যদি সরকারি কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের দেখা না যেত।

এক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবার প্রশাসন ত্রাণ পৌঁছে দেবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও সরকারি কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের জনপ্রতিনিধি এবং তার স্বামীকে দেখা যাওয়াতেই সরব হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। যার ফলে রীতিমতো দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্প প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা‌। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!