এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগে একযোগে পদত্যাগ ১৯ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা-নেত্রীর!

মমতা প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগে একযোগে পদত্যাগ ১৯ প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা-নেত্রীর!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যত দিন যাচ্ছে এবং নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসছে, ততই অস্বস্তি বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের। একদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে যখন তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা কর্মীদের পদ্ম শিবিরে টেনে নেওয়া হচ্ছে, ঠিক তখনই দলের বিভিন্ন পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা যাচ্ছে একের পর এক তৃণমূল নেতাদের। এবার রাজ্যের তৃণমূল সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়ে দুজন সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ প্রায় 19 জন সদস্য।

যে ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মাল ব্লকের ডামডিম পঞ্চায়েত এলাকায়। দলে ভাঙন ধরার পাশাপাশি যেভাবে সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তৃণমূলের 19 জন পঞ্চায়েত সদস্য নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল এবং সরকারের বিড়ম্বনা অনেকটাই বাড়িয়ে দিল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল?

জানা গেছে, এই গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং সেক্রেটারির বিরুদ্ধে দু’বছর ধরে বোর্ড পরিচালনার কাজে অসহযোগিতা করার অভিযোগ উঠেছে। যেখানে প্রধান সহ বাকি সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরে এই অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন। তাদের দাবি, এই সমস্ত অফিসাররা মাসে 1 থেকে 2 বার অফিসে আসেন। ফলে গ্রাম পঞ্চায়েতের উন্নয়নমূলক কাজ সম্পূর্ণরূপে থমকে গিয়েছে। এই দুই আধিকারিকের নাম করে বিডিও অফিসে অভিযোগ জানানো হলেও, সমস্যার সমাধান হয়নি। তাই এই ব্যাপারে নিজেদের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধান সহ 19 জন পঞ্চায়েত সদস্য।

এদিন এই প্রসঙ্গে ডামডিম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তারা শৈব বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে এই পঞ্চায়েত অফিসের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক পদে পর্যাপ্ত কর্মী নেই। যারা আছেন, তারাও ঠিকমত অফিসে আসেন না। যার ফলে কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে। ট্রেড লাইসেন্স, ম্যারেজ সার্টিফিকেট সহ বিভিন্ন ধরনের পরিষেবা নিতে জনগণকে সপ্তাহের পর সপ্তাহ ঘুরতে হচ্ছে। কিছু সরকারি আমলার ফাঁকিবাজির জন্য আমরা জনগণের চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। তাই এদিন গনইস্তফা দিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে এই পঞ্চায়েত রয়েছে। কিন্তু যেভাবে সরকারি অফিসারদের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ধরে তৃণমূলের একাংশ ইস্তফা দিলেন, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন অনেকটাই সমস্যার মুখে পড়ে গেল। যে সমস্ত পঞ্চায়েত সদস্যরা তাদের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন, তাতে আগামী দিনে তারা কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, এখন সেটাই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শাসকদলের কাছে।

কেন কাজে ঢিলেমির অভিযোগে সেই সমস্ত সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি? এদিন এই প্রসঙ্গে মালের জয়েন্ট বিডিও বলেন, “19 জন সদস্যের ইস্তফাপত্র পেয়েছি। তবে সেটা গৃহীত হয়নি। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। আশা করি, আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হবে।” এদিকে যে দুইজন সরকারি অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্যান্য সদস্যদের, এদিন সেই সরকারি অফিসারদের ফোন করা হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

স্বাভাবিকভাবেই একদিকে দলে ভাঙন আটকাতে যখন তৃণমূল নেতৃত্ব তৎপর, ঠিক তখনই সরকারি অফিসারদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে একাধিক তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য প্রধানের গন ইস্তফা নিঃসন্দেহে বড় সমস্যার মুখে ফেলল ঘাসফুল শিবিরকে। স্বাভাবিক ভাবেই এখন গোটা পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!