এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার প্রতি আনুগত্যের পুরস্কার? মন্ত্রীত্বের পাশাপাশি পুর-প্রশাসকের দায়িত্বে এই হেভিওয়েট

মমতার প্রতি আনুগত্যের পুরস্কার? মন্ত্রীত্বের পাশাপাশি পুর-প্রশাসকের দায়িত্বে এই হেভিওয়েট


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূলের কাছে খুব একটা সহজ ছিল না। নির্বাচনের আগে একদিকে যেমন বিজেপির প্রভাব বাড়তে শুরু করেছিল, ঠিক তেমনই তৃণমূলের যারা জনপ্রিয় নেতা এবং রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী হিসেবে পরিচিত ছিলেন, তাদের অনেকেই যোগ দিতে শুরু করেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মেদিনীপুরের শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে হাওড়ার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, বিজেপিতে নাম লিখিয়ে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের।

আর বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করার পরেই তাদের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাদের উপর ভরসা রাখতে শুরু করেছিল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে একের পর এক নেতারা ভোটের আগে বিজেপিতে নাম লেখালেও, তারা খুব একটা লাভ করে উঠতে পারেননি। রাজ্যে ক্ষমতায় আসেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। কোনোরকমে 77 টি আসনে জয়লাভ করে বিরোধী দলের জায়গা দখল করেছে গেরুয়া শিবির।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরই যে সমস্ত জেলার হেভিওয়েট নেতারা দলবদল করে প্রতিপক্ষ শিবিরের নাম লিখিয়েছিলেন, তাদের জব্দ করতে তাদের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতাদের বড় দায়িত্ব দিতে শুরু করল তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। বলা বাহুল্য, হাওড়া জেলায় অরূপ রায় সঙ্গে তৃণমূলের প্রাক্তন নেতা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না।

জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়তে থাকার কারণে কার্যত অরূপ রায়ের জন্যই তিনি দলবদল করেন বলে নানা মহলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়। আর এবার সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে জব্দ করতে মন্ত্রী অরুপ রায়কে বসানো হল হাওড়া পুরনিগমের প্রশাসক বোর্ডের মাথায়। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বিধানসভা ভোটের দামামা বেজে যাওয়ার পরেই বিভিন্ন পৌরসভায় প্রশাসক বোর্ড ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পরই সেই সমস্ত পৌরসভায় আবার নতুন করে প্রশাসক মন্ডলী নিয়োগ করতে শুরু করেছে রাজ্য সরকার। যেখানে হাওড়া পৌরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের মাথায় রাখা হয়েছে রাজ্যের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায়কে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলের পক্ষ থেকে নানা যুক্তি দেওয়া হচ্ছে।

একাংশ বলছেন, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অরূপ রায়ের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পরে তিনি বিজেপিতে চলে যাওয়ার পরে অনেকটাই চাপে পড়ে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে গিয়ে ডোমজুড়ে লড়াই করলেও জয়লাভ করতে পারেননি। তাই এবার তাকে আরও কাবু করতে অরূপ রায়কে মন্ত্রী পদ দেওয়ার পাশাপাশি পৌরসভার মাথায় বসিয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বড় পুরস্কার দেওয়া হল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকে আবার বলছেন, একের পর এক নেতা থেকে শুরু করে হেভিওয়েট জনপ্রতিনিধিরা যখন বিজেপিতে যোগ দিতে শুরু করেছেন, তখন অরূপ রায়ের মতো নেতারা দলের নেত্রীর পাশে ছিলেন। তাই তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরে সেই অরূপ রায়কে আনুগত্যের পুরস্কার দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।পর্যবেক্ষকদের মতে, কাটা দিয়ে বর্তমানে কাঁটা তুলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই মেদিনীপুর জেলায় শুভেন্দু অধিকারী এবং গোটা অধিকারী পরিবারকে জব্দ করতে তাদের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত অখিল গিরিকে অনেকটাই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

যেখানে প্রথমবার অখিলবাবুকে রাজ্য মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসা হয়েছে। অর্থাৎ অধিকারী পরিবারকে কাবু করতে যে অখিল গিরিকে কাজে লাগাতে চাইছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, তা বলাই যায়। অন্যদিকে হাওড়ায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগদান করেছেন অনেকদিন আগে। বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নিজের পুরনো কেন্দ্র ডোমজুড়ে বিজেপির টিকিটে লড়াই করেছিলেন।কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাজিত হয়েছেন।

তাই এবার সেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে আরও কোণঠাসা করে দিতে তার বিরোধী গোষ্ঠীর নেতা অরুপ রায়কে মন্ত্রী পদের পাশাপাশি হাওড়া পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের মাথায় রেখে বড় দায়িত্ব দিয়ে দিল ঘাসফুল শিবির। যা অরুপ রায়ের ক্ষেত্রে পুরস্কার বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!