এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > মমতার স্বস্তি বাড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হেভিওয়েট বাম নেতা! নয়া সমীকরণে জল্পনা!

মমতার স্বস্তি বাড়িয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হেভিওয়েট বাম নেতা! নয়া সমীকরণে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। দিনকে দিন এখানে বিজেপির উত্থান বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে বামেদের পক্ষ থেকে এক দিকে যেমন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে আক্রমণ করা হচ্ছে, ঠিক তেমনই বিজেপিকেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে একজোট থাকার বার্তা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ কোনোভাবেই যাতে বিজেপি এখানে মাথাচাড়া দিতে না পারে, তার জন্য আবেদন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আর এই পরিস্থিতিতে এবার তৃণমূলের শক্তি বাড়িয়ে রাজ্যে এসে সেই বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন ত্রিপুরার বামেদের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। যেখানে ত্রিপুরার বর্তমান বিজেপি সরকারকে আক্রমণের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। আর স্বাভাবিকভাবেই হেভিওয়েট বামনেতা পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের আগে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় তৃণমূল যে কিছুটা হলেও বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

সূত্রের খবর, এদিন বর্ধমানের টাউনহল সিপিআইএমের পক্ষ থেকে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। আর সেখানেই উপস্থিত হন ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লকডাউনের কথা তুলে ধরেন তিনি। মানিকবাবু বলেন, “লকডাউনে বিজেপি মানুষকে বিপদে ফেলেছিল। সারাদেশে 49 থেকে 52 কোটি পরিযায়ী শ্রমিক আছে। কিন্তু বিজেপি সরকার তাদের কথা ভাবেনি। চিন্তা করেনি। আটকে পড়া মানুষজন লকডাউনের সময় দীর্ঘ পথ হেঁটে বাড়ি ফিরেছে। কৃষক বিরোধী বিল পাস করে বড় বড় পুঁজিপতিদের হাত শক্ত করছে বিজেপি সরকার। কৃষি আইন বাতিলের জন্য যেখানে সারা ভারত কৃষক সভা মাসের-পর-মাস আন্দোলন করছে, বিজেপি সরকার সেখানে ডিভাইড অ্যান্ড রুল ব্যবহার করে আন্দোলনকে ভাগ করতে চাইছে। ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।” শুধু তাই নয়, বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধানকে লংঘন করারও অভিযোগ তুলতে দেখা গেছে মানিকবাবুকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশ বলছেন, ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার যেভাবে রাজ্যে এসে বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন, তাতে বামেদের পাশাপাশি তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই স্বস্তি পেয়ে গেল। কেননা তৃণমূলের কাছে এখন বিজেপিকে আটকানো সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে এসে যেভাবে মানিকবাবু বিজেপির বিরোধিতা করলেন, তাতে ঘাসফুল শিবির যে কিছুটা হলেও উজ্জীবিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিন ত্রিপুরার কথা তুলে ধরেও বিজেপিকে আক্রমণ করেন মানিক সরকার। তিনি বলেন, “ত্রিপুরাবাসী এখন বলছে, সর্বনাশ করেছি। সোনার ডিমের জন্য হাসটা মেরে ফেলেছি ” । তারা আগামী নির্বাচনের প্রতীক্ষায় আছে। অর্থাৎ ত্রিপুরার মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতায় এনে কোনোভাবেই যে খুশি নয়, তা বুঝিয়ে দিতে চাইলেন হেভিওয়েট এই বামনেতা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পশ্চিমবঙ্গে বামেদের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। 2011 সালে ক্ষমতা থেকে বিদায় নেওয়ার পর তারা রাজ্যে বিরোধী আসন দখল করলেও, যত দিন যাচ্ছে ততই তারা পিছনের সারিতে পড়ে গেছে।

বর্তমানে রাজ্যে বিরোধীদলের জায়গায় রয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এই পরিস্থিতিতে আগামী নির্বাচনেও যদি বিজেপি ভালো ফল করে, তাহলে আরও চাপের মুখে পড়ে যাবে বাম শিবির। তাই এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যে এসে সেই বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলতে শুরু করলেন‌। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!