এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মমতার উত্তরবঙ্গ সফরের আগে বন্ধ চা বাগান খোলা নিয়ে অস্বস্তি! দলীয় সংগঠন মুখ খুলে বাড়াল বিপদ!

মমতার উত্তরবঙ্গ সফরের আগে বন্ধ চা বাগান খোলা নিয়ে অস্বস্তি! দলীয় সংগঠন মুখ খুলে বাড়াল বিপদ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার আগে আলিপুরদুয়ারের বন্ধ চা বাগান খোলা নিয়ে এবার দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিল তৃণমূলের চা বাগান শ্রমিক সংগঠন। যার ফলে এখন ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে গোটা আলিপুরদুয়ার জেলায়। যেভাবে চা-বাগান খোলা নিয়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের মুখ থেকে উষ্মা প্রকাশের কথা শোনা গেল, তাতে রীতিমত চিন্তায় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব। চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বর্তমানে বন্ধ থাকা চা বাগান খুলতে শুরু করলেও, তাতে খুব একটা আশা নেই। স্বাভাবিকভাবেই শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এহেন কথা সামনে আসা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব যে ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, টানা 21 মাস ধরে বন্ধ ছিল মাদারিহাট ব্লকের মুজনাই চা বাগান। তবে সম্প্রতি বেশ কিছুদিন আগে তা খুলে দেওয়া হয়। একইভাবে দীর্ঘদিন ধরে মালিক-শ্রমিক গন্ডগোলের জেরে বন্ধ থাকার পর রবিবার খুলে যায় কালচিনি এবং রায়মাটাং চা বাগান। তবে একের পর এক চা বাগান বর্তমানে খুলতে শুরু করায় আগামী দিনে বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূল এই উদ্যোগ নিচ্ছে বলে দাবি করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। যার ফলে এমনিতেই অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার। আর তার মাঝেই এবার শাসক দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন চা বাগান তৃণমূল মজদুর ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অসীম মজুমদার।

সূত্রের খবর, এদিন তিনি বলেন, “কালচিনি ও রায়মাটাং বাগানের মালিকানা পরিবর্তনের পর 10 বছরে কোনো কারণ ছাড়াই সাতবার লকআউট হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গে আসার আগে মন্ত্রী এবং শ্রম দপ্তরের চাপে মালিকপক্ষ বাগান খুললেন ঠিকই। কিন্তু আমি খুব আশাবাদী নই। সরকারের আরও বেশি নজরদারি করা উচিত।” আর চা বাগান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতার মুখ থেকে এই ধরনের কথা সামনে আসায় এখন ব্যাপক বিড়ম্বনায় পড়েছে শাসকদল। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চা বাগান খুলতে উদ্যোগী ভূমিকা পালন করা হলেও, যেভাবে তা নিয়ে নিরাশার কথা শোনা গেল তৃণমূলের চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের নেতার গলায়, তাতে ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা তৈরি হয়েছে নানা মহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিরোধীদের তরফ থেকে কটাক্ষ করা হয়েছে শাসকদলকে। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ জন বারলা বলেন, “এই অবস্থায় শ্রমিকদের কাছে পেতে আবার একটা নির্বাচনের আগে বাগান খোলার নাটক শুরু করছে শাসক দল। আমরা নিশ্চিত, ভোটের পর আবার যা হওয়ার, তাই হবে।” এদিকে বাগানগুলো যাতে ভবিষ্যতেও কড়া থাকে, সেদিকে রাজ্য সরকারকে নজর রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন ডুয়ার্স চা বাগান ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সম্পাদক গোপাল প্রধান। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য এই ব্যাপারে বিরোধীদের কড়া ভাষায় আক্রমণ করা হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, “আমাদের সরকারের লক্ষ্য চা বাগান খোলা। এতে বিরোধীদের গাত্রদাহ হবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে আমাদের দলের কেউ কিছু বললে তারা সবটা না জেনে বুঝেই বলেছেন বলে আমার মনে হয়।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বিরোধীদের পক্ষ থেকে সরকারকে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি এই বিষয়ে কটাক্ষ করা হবে, এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু যেভাবে তৃণমূলের চা বাগান শ্রমিক সংগঠনের নেতা বর্তমানে বাগান খোলা হলেও, ভবিষ্যৎ নিয়ে অস্পষ্টতার কথা শোনালেন, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস অত্যন্ত চাপে পড়ল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!