এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার উত্তরণ যেখান থেকে, সেখানেই দ্বিধাবিভক্ত তৃণমূল! একুশের মহাযুদ্ধের আগে নয়া সমীকরণ?

মমতার উত্তরণ যেখান থেকে, সেখানেই দ্বিধাবিভক্ত তৃণমূল! একুশের মহাযুদ্ধের আগে নয়া সমীকরণ?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিগত বাম সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পেছনে নন্দীগ্রামের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। এই নন্দীগ্রামের লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে রাজ্যে পরিবর্তনের প্রশস্ত হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। কিন্তু যে নন্দীগ্রাম থেকে তৃনমূল কংগ্রেসের উত্থান এবং ক্ষমতায় অলিন্দে পৌঁছে যাওয়া, এবার সেই নন্দীগ্রামেই দ্বিধা-বিভক্ত তৃণমূল কংগ্রেস। স্বভাবতই বলার অপেক্ষা রাখে না যে, নন্দীগ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের এখন এই দ্বিধাবিভক্ত রূপের পেছনে প্রধান কারণের নাম শুভেন্দু অধিকারী।

কেননা একসময় আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই শুভেন্দুবাবু সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে বিস্তার লাভ করে তিনি। কিন্তু সেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে এখন তৃণমূলের দূরত্ব বাড়তে শুরু করেছে। মনে করা হচ্ছে, তিনি দলত্যাগ করতে পারেন। আর এই পরিস্থিতিতে সেই নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর গোষ্ঠীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গোষ্ঠীর। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় যারা সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অন্যতম শেখ সুফিয়ান। বর্তমানে তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি। তবে এই শেখ সুফিয়ান শুভেন্দু অধিকারীর ঘোরতর বিরোধী বলেই পরিচিত। এদিন শুভেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে ব্যাপক ভাবে সরব হন হেভিওয়েট এই তৃণমূল নেতা। তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সব। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে গেলে তৃণমূলের কোনো ক্ষতি হবে না। বরঞ্চ ভোট বাড়বে।”

এদিকে নন্দীগ্রাম আন্দোলনের আর এক মুখ তথা শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী বলে পরিচিত আবু তাহের অবশ্য শুভেন্দু অধিকারী যাতে তৃণমূল কংগ্রেসেই থাকেন, তার পক্ষে সওয়াল করেছেন। এদিন তিনি বলেন, “শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসে থাকুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একবার দাদার সঙ্গে কথা বললেই সব সমস্যা মিটে যাবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যেমন কোনো বিকল্প নেই, তেমনই শুভেন্দু অধিকারীরও কোনো বিকল্প নেই।”

স্বাভাবিকভাবেই যে নন্দীগ্রাম এতদিন তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি ছিল, সেই নন্দীগ্রামেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এখন জল্পনা বাড়তে শুরু করেছে। আর যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীদের বিবাদ কার্যত প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে, তাতে এই নন্দীগ্রাম এখন তৃণমূলের কাছে প্রধান চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শুভেন্দু অধিকারী মন্ত্রী পদ ত্যাগ করেছেন। খুব তাড়াতাড়ি তিনি দলবদল করবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে‌। তবে শুভেন্দু অধিকারী যদি বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলত্যাগ করেন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে যে তা ব্যাপক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা উপলব্ধি করেছেন তৃণমূলের সকলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেই শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা যাচ্ছে নন্দীগ্রামে তার বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর নেতা-নেত্রীদের। যেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে শুভেন্দু অধিকারীকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন না তারা। যার ফলে শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দূরত্ব আরও বাড়বে বলেই দাবি করছেন একাংশ।

আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর মত হেভিওয়েট নেতাকে নিয়ে যেভাবে তার সঙ্গে দলের একাংশ বিবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন, তাতে গোটা পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন পর্যবেক্ষকরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, যে নন্দীগ্রাম তৃণমূলের উত্থানের একসময় প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেই নন্দীগ্রামই তৃণমূলকে বিপর্যয়ের দিকে নিয়ে যায় কিনা, তাতেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অলিন্দে।

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!