এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার ভাষণের পরেই তৃণমূলে বড়সড় যোগদান, চাপের মুখে বিজেপি!

মমতার ভাষণের পরেই তৃণমূলে বড়সড় যোগদান, চাপের মুখে বিজেপি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বাংলার দুই প্রধান বিরোধী দল তৃণমূল এবং বিজেপিকে শহীদ দিবসের আয়োজন করেছিল দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে 21 শে জুলাই দিনটি কে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয় এবার করো না পরিস্থিতির কারণে তা ভার্চুয়ালি করা হয়েছিল তবে তৃণমূলকে পাল্টা চাপে রেখে তাদের যে সমস্ত নেতাকর্মীরা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের স্মরণে রেখে বিজেপির পক্ষ থেকেও করা হয়েছিল সেই শহীদ সমাবেশ। স্বভাবতই দুই প্রধান শাসক এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের এই শহীদ সমাবেশকে কেন্দ্র করে এমনিতেই উত্তপ্ত ছিল রাজ্য রাজনীতি।

অনেকেই মনে করেছিলেন, বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হওয়ার পর তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া অনেক নেতা নেত্রীরা বেসুরো হতে শুরু করেছেন। তাই শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সমস্ত নেতা-নেত্রীদের মধ্যে কাউকে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা করতে পারেন। কিন্তু তেমন কোনো ঘোষণা করেননি তৃণমূল নেত্রী। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরেই বড় কোনো নেতারা তৃণমূলে যোগদান না করলেও, বিজেপির প্রায় 1400 কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন তৃনমূল কংগ্রেসে। যার ফলে ব্যাপক চাপের মুখে পড়ে গেল ভারতীয় জনতা পার্টি।

সূত্রের খবর, বুধবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহীদ সমাবেশে বক্তব্য রাখলেও, প্রতিটি জেলায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে জয়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করে সেই বক্তব্য শোনানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। সেই মতো করে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরেও তৃণমূল নেতৃত্বের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়। আর সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শহীদ দিবসের বক্তব্য শুনতে বেশ কিছু বিজেপি কর্মী সমর্থককে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়। পরবর্তীতে তারা তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়ার পর যোগদান করেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, প্রায় 1400 বিজেপি কর্মী সমর্থক তৃণমূলে যোগদান করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় ব্লক তৃণমূল সভাপতি মেহমুদ খান বলেন, “বিধানসভা ভোটের আগে জামালপুরের অনেক মানুষ বিজেপি নেতাদের কথায় বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন। ভোটে ভরাডুবির পর সেই বিজেপি নেতারা এখন গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ব্যস্ত। দলের কর্মী-সমর্থকদের দিকে তারা ফিরেও তাকাচ্ছেন না। এইসব দেখে অনেকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন। তাদের গ্রহণ করা হয়েছে।” অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসে তাদের প্রচুর নেতা কর্মীরা যোগদান করলেও, তাকে মানতে নারাজ ভারতীয় জনতা পার্টি।

এদিন এই প্রসঙ্গে জামালপুরের বিজেপির আহ্বায়ক জিতেন ডকাল বলেন, “ইচ্ছা করে কেউ বিজেপি ছাড়েনি, ছাড়ছেও না। তৃণমূলের সন্ত্রাসের হাত থেকে বাঁচবার জন্য সব জায়গায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন।” বলা বাহুল্য, তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের পাল্টা বিজেপির পক্ষ থেকে শহীদ সমাবেশ করে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে এবং তার জন্য যে তাদের দলের অনেক নেতা কর্মীরা প্রাণ হারিয়েছেন, সেই কথা তুলে ধরার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

আর সেখানেই পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে একাধিক বিজেপি নেতা কর্মী তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান বিজেপিকে যথেষ্ট চাপের মুখে ফেলে দিয়েছে। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে যে শুধুমাত্র ভয় এবং সন্ত্রাসের কারণে তাদের নেতাকর্মীরা তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য হচ্ছেন, সেই কথা তুলে ধরা হয়েছে। সব মিলিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি, উভয় দলের সমাবেশের দিনেই ব্যাপক ভাঙন ধরল ভারতীয় জনতা পার্টিতে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!