এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার বিড়ম্বনা বাড়িয়ে পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে! রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনা তুঙ্গে!

মমতার বিড়ম্বনা বাড়িয়ে পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে! রাষ্ট্রপতি শাসনের জল্পনা তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যে ক্রমাগত হিংসার ঘটনা ঘটে চলেছে। জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টে নানা পিটিশন দাখিল করার চেষ্টা হলেও, তা গ্রহণ করেনি দেশের শীর্ষ আদালত। এক্ষেত্রে গোটা বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের দেখার বিষয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে। স্বাভাবিকভাবেই সুপ্রিম কোর্টের কাছে এই ব্যাপারে মামলাকারীরা পিটিশন দাখিল করার চেষ্টা করলেও, তা কার্যত অসম্পূর্ণ থেকে যায়।

কিন্তু অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকারকে রাজ্যে যেন রাষ্ট্রপতি শাসন জারির নির্দেশ দেওয়া হয়, সেই ব্যাপারে আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে একটি পিটিশন পেশ করা হল। যাকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে জল্পনা। অর্থাৎ এতদিন সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোনো আবেদন গ্রহণ করা না হলেও, এবার একধাপ এগিয়ে সেই ব্যাপারে পিটিশন দাখিল করার সুযোগ চলে আসায় মামলাকারীদের পক্ষ থেকে কার্যত চাপে ফেলে দেওয়া হল তৃণমূল সরকারকে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের আইনজীবী রঞ্জনা অগ্নিহোত্রী এবং সমাজকর্মী জিতেন্দ্র সিংহ এই পিটিশন দাখিল করেন। যেখানে তাদের হয়ে দেশের সুপ্রিম কোর্টে যুক্তির অবতারণা করেন আইনজীবী হরিশংকর জৈন। পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই যেভাবে বিরোধীদের ওপর নির্যাতন শুরু হয়েছে, সেই কথা তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি বর্তমানে হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে বলে কেন্দ্রকে যাতে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়, সেই নিয়েও পিটিশনে আবেদন করেছেন পিটিশনাররা। বলা বাহুল্য, বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পরেই যেভাবে হিংসার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে, তাকে হাতিয়ার করে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হতে দেখা গিয়েছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। অর্থাৎ রাজ্যের বিড়ম্বনা বাড়িয়ে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কখনও রাজ্যপাল, আবার কখনও বা কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাজ্য সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন বলেই মনে করা হয়েছিল।

একাংশ বলছেন, এতদিন আইনি দিক থেকেও যাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং তৃণমূলকে চাপে ফেলা যায়, তার জন্য নানা চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাতে সফলতা আসেনি। সুপ্রিমকোর্টের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি গ্রহণ না করায় সেই পিটিশন দাখিল করা সম্ভব হচ্ছিল না। অবশেষে সুপ্রিম কোর্ট সেই ব্যাপারে সম্মতি দেওয়ার কারনে সেই পিটিশন পেশ করা হয়েছে। যেখানে পরোতে পরোতে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে আইন শৃঙ্খলা না থাকার অভিযোগ করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই দেশের শীর্ষ আদালতে অবশেষে পিটিশন দাখিল হওয়ার কারণে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে কি নির্দেশ দেওয়া হয় এবং তার জেরে রাজ্যের শাসক দল কতটা চাপে পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!