এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > মামলায় জেরবার শুভেন্দু, রাজ্যকে চাপে ফেলে রক্ষাকবচ আদালতের! জেনে নিন

মামলায় জেরবার শুভেন্দু, রাজ্যকে চাপে ফেলে রক্ষাকবচ আদালতের! জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  একসময় তৃণমূল সরকারের মন্ত্রী এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক হলেও, 2020 সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেসের সংসর্গ ত্যাগ করে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। পরবর্তীতে 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন তিনি। আর তারপরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে বিজেপির পক্ষ থেকে তাকে দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব। তবে রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখ শুভেন্দুবাবুকে চাপে রাখতে তৃণমূল এবং পুলিশ প্রশাসন লাগাতার মামলা করছে বলে অভিযোগ।

এক্ষেত্রে ত্রান দেওয়া থেকে শুরু করে প্রাক্তন দেহরক্ষীর মৃত্যু, বিভিন্ন ঘটনায় অস্বস্তিতে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারীকে। তবে এই সমস্ত কিছুই যে পরিকল্পনামাফিক করা হচ্ছে, সেই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই বিষয়টি তুলে ধরেই হাইকোর্টে একটি অভিযোগ করেন চঞ্চল নন্দী নামে এক ব্যক্তি। আর তার সেই অভিযোগ শোনার পরেই রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কি কি মামলা রয়েছে, সেই ব্যাপারে জানতে চাইল আদালত।

সূত্রের খবর, এদিন চঞ্চল নন্দীর পক্ষ থেকে তার আইনজীবী কলকাতা হাইকোর্টে একটি অভিযোগ জানান। যেখানে তারা দাবি করেন, বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারীকে নানা মামলা দিয়ে চাপে রাখার চেষ্টা হচ্ছে। তবে সবটাই প্রতিহিংসাপরায়ণ আচরণ। এক্ষেত্রে কিছুদিন আগেই বিজেপি থেকে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করা মুকুল রায়ের উদাহরনকে সামনে টেনে আনেন অভিযোগকারীর আইনজীবী। তার দাবি, এক্ষেত্রে মুকুল রায় 2017 সালের তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিয়ে তাকে চাপে রাখার চেষ্টা করেছিল রাজ্যের শাসক দল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ঠিক একইভাবে এখন শুভেন্দু অধিকারী বিজেপির প্রধান মুখোপাধ্যায়ের সরকারকে চাপে রাখার কারণে তিনি যাতে বিরোধিতা থেকে সরে আসেন, তার জন্য তাকে নানা মামলা দিয়ে হেনস্থা করার রাস্তা বেছে নেওয়া হয়েছে। আর মামলাকারীর আইনজীবীর এই বক্তব্য শোনার পরেই বড় নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। যেখানে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা জানিয়ে দেন, শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কি কি অভিযোগ রয়েছে এবং কি কি এফআইআর হয়েছে, তার বিস্তারিত তথ্য রাজ্য সরকারকে পেশ করতে হবে। এক্ষেত্রে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে এই রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দিতে হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে রাজ্য সরকার যথেষ্ট চাপের মুখে পড়ে গেল। বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর থেকেই শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যের শাসক দলকে বিভিন্ন দিক দিয়ে চাপে ফেলতে শুরু করেছেন। ভুয়ো ভ্যাকসিনের ঘটনা থেকে শুরু করে আইনশৃংখলার অবনতি, বিধানসভার ভেতরে বিধায়কদের নিয়ে তার নজিরবিহীন প্রতিবাদ তৃণমূলের অস্বস্তি ক্রমাগত বাড়িয়ে দিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের কাছে যেভাবে সেই এফআইআর সহ মামলার বিষয় নিয়ে তথ্য চাওয়া হল, তাতে রাজ্য সরকার কিছুটা হলেও বিড়ম্বনার মুখে পড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, এই ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টে কি তথ্য পেশ করে রাজ্য, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!