এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মামলার নিষ্পত্তি করতে কেন এত দীর্ঘসূত্রতা আদালতের? কারণ খুঁজতেই বেরিয়ে এল বিস্ফোরক তথ্য

মামলার নিষ্পত্তি করতে কেন এত দীর্ঘসূত্রতা আদালতের? কারণ খুঁজতেই বেরিয়ে এল বিস্ফোরক তথ্য


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতের বিচার ব্যবস্থার নামে একটি বিশেষ অভিযোগ হলো দীর্ঘসূত্রতা। কোন একটি মামলার নিষ্পত্তি হতে অনেক দিন সময় চলে যায়। তা যে কোন আদালতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কিন্তু দিনে দিনে এই সমস্যা ব্যাপকভাবে বাড়ছে কলকাতা হাইকোর্টে। মামলার শুনানির জন্য বহুদিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। মামলা নিষ্পত্তি হতে চলে যাচ্ছে বহু সময়। ফলে সমস্যা বাড়ছে রাজ্যের সাধারণ মানুষের।

আদালতের এই দীর্ঘসূত্রতার কারণ কি? এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বেরিয়ে এল বিস্ফোরক তথ্য। যেখানে জানা যাচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্টে যত সংখ্যক বিচারপতি থাকার কথা, তার অর্ধেকেরও কম বিচারপতিকে নিয়ে চলছে হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের স্থায়ী ও অতিরিক্ত বিচারপতি মিলিয়ে মোট ৭২ জন বিচারপতি থাকার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে মাত্র ৩১ জন বিচারপতিকে নিয়ে চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। অর্ধেকেরও কম বিচারপতি থাকার কারণে বাড়ছে সমস্যা। মামলার নিষ্পত্তি হতে, মামলার শুনানির দিন পেতেই অপেক্ষা করতে হচ্ছে মানুষকে বহুদিন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কলকাতা হাইকোর্টে মোট ৭২ জন বিচারপতি থাকার কথা। যাদের মধ্যে ৫৪ জন স্থায়ী, ১৮ জন অতিরিক্ত বিচারপতি থাকার কথা। কিন্তু সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে মাত্র ৩১ জন বিচারপতি রয়েছেন। যাদের মধ্যে ২৯ জন হলেন স্থায়ী বিচারপতি, ২ জন হলেন অতিরিক্ত বিচারপতি। প্রয়োজনের তুলনায় কম বিচারপতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। সাধারণত, হাইকোর্টে বিচারপতি নিয়োগ করা হয় সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম এর নির্দেশ মেনে। কলেজিয়াম এর নির্দেশ মত কেন্দ্রের কাছে হাইকোর্টে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে সুপারিশ করা হয়।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা হাইকোর্টে ৭ জন বিচারপতি নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছিল। তবে, বিষয়টি আর অগ্রসর হয়নি। এখনো পর্যন্ত কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। গত ৩১ সে ডিসেম্বর কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছিল রাজেশ বিন্দলকে। ইতিপূর্বে জম্মু-কাশ্মীর হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ছিলেন তিনি। আবার, ২০২০ সালের মে মাসে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে অনিরুদ্ধ রায়কে। কিন্তু চলতি বছর কোন বিচারপতি নিয়োগ করা হয়নি হাইকোর্টে।

কলকাতা হাইকোর্ট দেশের ঐতিহ্যসালী হাইকোর্ট গুলোর মধ্যে একটি। যার প্রতিষ্ঠা ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে। সেই হাইকোর্ট কেন এতো কম বিচারপতি দিয়ে চলছে? তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। বিচারপতির সংখ্যা কম থাকার কারণে মামলার গতি বাড়ছে না, মামলার নিষ্পত্তি হতে অনেক সময় চলে যাচ্ছে, এমনকি শুনানির জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে বহুদিন। বিচারপতিদের উপর অতিরিক্ত চাপের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। এ প্রসঙ্গে জনৈক আইনজীবী জানিয়েছেন যে, উপযুক্ত সংখ্যায় বিচারপতি না থাকার ফলে একটি মামলার শুনানির জন্য অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়। অনেক জরুরী মামলা আটকে থাকছে। যার ফলে সমস্যা বাড়ছে রাজ্যের সাধারণ মানুষের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!