এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আমি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, অন্য কাউকে কৈফিয়ত দেব না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

আমি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ, অন্য কাউকে কৈফিয়ত দেব না: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়


বৃহস্পতিবার বিধানসভা অধিবেশনে পাশ হয়ে গেল লোকায়ুক্ত বিল। উল্লেখ্য সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল দুর্নীতি রোধে কেন্দ্রে লোকপাল ও রাজ্যে লোকায়ুক্ত নিয়োগ করা যাবে। সেই মত রাজ্যের দুর্নীতি রুখতে শাসক দলের বিধায়করা লোকায়ুক্ত বিলের আর্জি জানিয়েছিল।
এদিন এই বিল পাশের জন্যে ভোটাভুটি হলে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি বিধায়করা একজোট হয়ে এই বিলের বিরোধিতা করে। যদিও শাসকদলের সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বিল বিধানসভার পাশ হয়ে যায়। প্রসঙ্গতঃ দলত্যাগী কংগ্রেস বিধায়করা এদিনের ভোটাভুটিতে অংশ গ্রহন করেননি। এই বিল প্রসঙ্গে বিরোধী দলগুলির অভিযোগ ছিল, কেন্দ্র ও রাজ্যের বিলে বিশেষ কোনও পার্থক্য নেই। প্রধানমন্ত্রীর মতো মুখ্যমন্ত্রীকেও তদন্তের আওতার বাইরে রাখতে চাইছে সরকার।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সেই কারণে এখন বিরোধীরা সওয়াল করছে, “মুখ্যমন্ত্রী যদি সততার প্রতীক হন, তাহলে লোকায়ুক্তে ভয় কীসের ?” তবে এদিন বিরোধীদের আনা সমস্ত অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজের ভাষণে বলেন, “আমি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। কোনও নেতার কাছে দায়বদ্ধ নই। কাউকে কৈফিয়ত দেব না।” মুখ্যমন্ত্রী জানালেন বিধায়করাও লোকায়ুক্তের আওতায় থাকবেন। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তদন্তের জন্য অনুমতি নিতে হবে। তাই বিরোধীদের আনা অভিযোগ এই বিল পাশের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতি মূলক ঘটনায় তদন্ত থেকে অনায়াসেই ছাড় পাবেন এমন কথার কোনও জায়গা নেই। একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন লোকায়ুক্ত ইস্যুতে কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রাক্তন শাসক দল বাম শিবিরকে কার্যত কামান দেগে বলেন, ” এখন যাঁরা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁরা কেন লোকায়ুক্ত চালু করেননি? কেন্দ্রই বা কেন এখনও লোকপাল চালু করতে পারল না? ”
এই বিল পাশ হওয়ার পরে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, রাজ্যপাল স্বাক্ষর করার ১০ দিনের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিকে লোকায়ুক্ত পদে নিয়োগ করা হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!