এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা গুরুত্ব বাড়ালেও নির্বাচন কমিশনের রোষানলে পরে এবার ফিরহাদ হাকিমের উড়তে চলেছে ঘুম?

মমতা গুরুত্ব বাড়ালেও নির্বাচন কমিশনের রোষানলে পরে এবার ফিরহাদ হাকিমের উড়তে চলেছে ঘুম?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম কলকাতা বন্দর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক। পরবর্তীতে তাঁকে কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়। পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যানের লাভজনক পদে বসার সময়ে তাঁর বিধায়ক পদ কেন খারিজ করা হয়নি? সে বিষয়ে জানতে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এরপর রাজ্যের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয় যে, পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে পুরমন্ত্রী কোন বেতন, ভাতা নেন না, কোন সুবিধাও পান না। রাজ্যের এই বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। তাই পুরমন্ত্রীকে ফলকনামা সহ সশরীরে উপস্থিত হতে বলা হলো। নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশ অস্বস্তিতে ফেলে দিল পুরমন্ত্রী সহ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে একটি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এই নোটিশের প্রতিলিপি রাজ্যপাল ও রাজ্য সরকারের মুখ্যসচিবকে পাঠানো হয়েছে। এখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, আগামী ১৭ ই নভেম্বর বিকেল সাড়ে চারটের মধ্যে কমিশনের কাছে সশরীরে উপস্থিত হবে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। এরপূর্বে, ১০ ই নভেম্বরের মধ্যে এই বিষয় সংক্রান্ত বিভিন্ন নথি সহ বিধিসম্মত হলফনামার সঙ্গে এর লিখিত জবাব দিতে পারবেন। তবে, এই সময়ের মধ্যে তিনি কোনো জবাব না দেন, তবে এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ই মে কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান করা হয়েছিল পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। এরপর গত ১ লা জুলাই নির্বাচন কমিশন চিঠি দিয়েছিল রাজ্যকে। যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যানের লাভজনক পদে বসার জন্য তাঁর বিধায়ক পদ কেন খারিজ করা হয়নি? আরো জানতে চাওয়া হয়েছিলযে, কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে ফিরহাদ হাকিম বেতন বা ভাতা পান কিনা? এই পদের বিজ্ঞপ্তি কবে জারি করা হয়েছিল?

পুর প্রশাসকের পদটি রাজ্য সরকারের অধীনস্থ কিনা? পদের নিয়োগকর্তা, নিয়োগপত্র, নিয়োগের বিস্তারিত বিবরণ? এই পদ থেকে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়? কি কি কাজ করতে হয়? এই সমস্ত কিছু নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল। এর সঙ্গে সঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছিল যে, লাভজনক পদ সংক্রান্ত আইন থেকে কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদটি ছাড় পাচ্ছে কিনা?
এরপর রাজ্যের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছিল যে, পুর সভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে ফিরহাদ হাকিম কোন বেতন, ভাতা পান না। এমনকি গাড়ির সুবিধা নেন নি তিনি। যে গাড়ি তিনি ব্যবহার করেন, সেটি মন্ত্রী, বিধায়ক হিসেবে পাওয়া সুবিধার আওতায় পড়ে। এমনকি ফোনের বিল পর্যন্ত পুরসভা থেকে তিনি নেন না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে রাজ্যের লাভজনক পদ সংক্রান্ত আইনে ১১৫ টি পদকে লাভজনক বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর গত ২০১১ সালে সংশোধিত আইনে লাভজনক পদের সংখ্যা ১২৬ করা হয়েছিল। আবার ১২ টি পদকে অলাভজনক বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদটি লাভজনক কিনা, তার উল্লেখ সেখানে পাওয়া যায়নি। ২০০৭ সালের আইনের কথা উল্লেখ করে প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদটিকে লাভজনক পদের তালিকার বাইরে রয়েছে বলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল রাজ্য। কিন্তু কমিশন দাবি করেছে যে, তাদের কাছে সমস্ত আইন এর রেকর্ড আছে।

প্রসঙ্গত কলকাতা পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ নিয়ে আইনে কোনো সুস্পষ্ট উল্লেখ না থাকায়, তা নিয়ে বিতর্ক বাঁধছে। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন যে, চেয়ারম্যান পদ থেকে যখন তিনি কোন সুবিধা নিচ্ছেন না, তাহলে চেয়ারম্যান পদকে লাভজনক কেন বলা হচ্ছে? আবার, গত ২২ সে জুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরাকে একটি চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যপালের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব সতীশ তিওয়ারি জানিয়েছিলেন যে, ফিরহাদ হাকিম এর বিধায়ক পদ খারিজ এর জন্য দুটি অভিযোগপত্রে আবেদন জানানো হয়েছে। গত কয়েকমাস ধরেই এ বিষয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

তবে অনেকে মনে করছেন, এ ক্ষেত্রে কমিশনের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত নাও হতে পারে। যেমন, তারকা প্রচারক এর তালিকা থেকে কমলনাথকে অপসারণে কমিশনের সিদ্ধান্তের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে, যাই হোক না কেন কমিশনের এই নির্দেশের পর যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছেন পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। রাজ্য সরকারে ক্রমশ তাঁর গুরুত্ব বারলেও, নির্বাচন কমিশনের রোষানলে তিনি পড়তে চলেছেন কিনা তা নিয়ে উঠেছে নানা প্রশ্ন। তবে এ বিষয়ে কোন বক্তব্য রাখেন নি পুরমন্ত্রী। ফোন করে তাঁকে পাওয়া যায় নি, মেসেজ করা হলেও, তার কোন উত্তর তিনি দেন নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!