এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুখ্যমন্ত্রীকে প্রবল কটাক্ষ, রাজ্য সরকারকে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর

মুখ্যমন্ত্রীকে প্রবল কটাক্ষ, রাজ্য সরকারকে তীক্ষ্ণ ভাষায় আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে তীব্র ভাষায় কটাক্ষ ও অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীকে প্রবল ক্রমণ করলেন তিনি। তাঁকে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন, রাজ্যের মানুষ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁকে বাতিল করে দিয়েছেন। এরপরও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বসে রয়েছেন। কেরল, হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী যারা পরাজিত হয়েছিলেন, জনতার রায় মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেননি তাঁরা। একমাত্র ব্যতিক্রমী হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ২০১৯ সালে নন্দীগ্রামে তৃণমূল ভোটে জয়ী হয়েছিল ৭০ হাজার ভোটে। ২০২১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়েছেন ১৯৫৬ টি ভোট। ১০০ গণনা করে দেখা হলেও ১৯৫৬ ই থাকবে ১৯৫৭ হবে না। মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন, তাঁর দুকান কাটা, তাই রাস্তার মাঝখান দিয়ে যেতেও তাঁর লজ্জা করেনা। রাজ্যে উপনির্বাচন না হলে তাঁর মুখ্যমন্ত্রীর কুরসী ছেড়ে দিতে হবে। তাই উপ নির্বাচনের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, এই রাজ্য সরকার হাঁড়ি কলসি বিতরণ করতে ওস্তাদ। এখন সরকারের পক্ষ থেকে ঠেলাগাড়ি বিতরণ করা হচ্ছে। মাত্র আড়াই মাসে তৃণমূল সরকারের ধোঁয়া বেরিয়ে যাচ্ছে। চারদিক ভুয়ো মানুষে ভরে গেছে। ভুয়ো সিবিআই অফিসার, ভুয়ো ভ্যাকসিন এই সমস্ত চলছে পশ্চিমবঙ্গে। তৃণমূল সরকারকে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন, এই সরকার থেকে দুর্গন্ধ বের হতে শুরু করেছে। তিনি অভিযোগ করলেন, বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর বিজেপির ২৫ হাজার কর্মী সর্বস্বান্ত, ৪৭ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ৩০০ জন মহিলার শ্লীলতাহানি করা হয়েছে, বহু মহিলাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, অনেকে লজ্জায় তা প্রকাশ করতে পারেননি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি জানালেন, ১ লক্ষের বেশি বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া হয়ে পড়েছেন। অনেকে আসামে গিয়ে আশ্রয় পর্যন্ত নিয়েছেন। আর মুখ্যমন্ত্রী বারবার জানাচ্ছেন যে, রাজ্যে কিছুই হয়নি। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী কটাক্ষ তিনি জানান, আসলে তাঁর কোনো লজ্জা নেই। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে করা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট দেখতে বললেন তিনি সকলকে। তিনি জানালেন, এই রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গে সংবিধান ধ্বংস হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গে শাসকের আইন চলছে, আইনের শাসন নেই পশ্চিমবঙ্গে।

শুভেন্দু অধিকারী জানালেন, পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন নেই। নামেমাত্র লকডাউন করা হয়েছে, কিন্তু তা মানা হচ্ছে না। এরপর জনগণকে উদ্দেশ্য করে তিনি জানালেন, সকলকে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে। ভ্যাকসিন পাওয়া সকলের ন্যায্য অধিকার। সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি চেয়ে নিতেও সকলকে নির্দেশ দিলেন তিনি। তিনি জানালেন, এটাও সকলের ন্যায্য অধিকার। কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিন পাঠাচ্ছে, আবাস যোজনার বাড়িও পাঠাচ্ছে, কিন্তু সমস্ত কিছু নিয়ে নেবার চেষ্টা চলছে।

গতকাল শুধু মুখ্যমন্ত্রীকেই নয়, তৃণমূল নেতা মুকুল রায়কেও প্রবল ভাষায় কটাক্ষ করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুকুল রায় প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী জানালেন যে, এর আগে কোনদিন তিনি নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারেন নি। কৃষ্ণনগর উত্তরে লোকসভা ভোটে ৫০ হাজার লিড ছিল বিজেপির। সেখানে যাকেই দাঁড় করানো হতো, তিনিই জিততেন। মুকুল রায়কে সিনিয়র নেতার মর্যাদা দিয়ে সেখানে দাঁড় করানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি ছেলের ব্যবসা বাঁচাতে তৃণমূলে চলে গেছেন। তাই তাঁদের কি করার আছে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!