এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতার ২ স্বপ্নের প্রকল্পের হাত ধরে আবার সেরার সেরা বাংলা, বিধানসভার আগে খুশির হাওয়া তৃণমূলে

মমতার ২ স্বপ্নের প্রকল্পের হাত ধরে আবার সেরার সেরা বাংলা, বিধানসভার আগে খুশির হাওয়া তৃণমূলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যবাসীকে উন্নত জীবন যাপনের অংশীদার করে তুলতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একাধিক সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি প্রকল্প হলো কন্যাশ্রী ও সবুজ সাথী প্রকল্প। যে দুটি প্রকল্পের সুফল মিলেছে যথেষ্টভাবে। সম্প্রতি এক বেসরকারি সংস্থা তাদের সমীক্ষায় জানিয়েছে যে, এ রাজ্যের স্কুলছুটের সংখ্যা যথেষ্টভাবে হ্রাস পেয়েছে। যে সংখ্যা পূর্বে ছিল ৩.৩ শতাংশ, সম্প্রতি তা ১.৫ শতাংশ এসে পৌঁছেছে। যার মুখ্য কারণ হলো কন্যাশ্রী সবুজ সাথী প্রকল্প। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই দুই প্রকল্পর হাত ধরে আবার ভারত সেরা হল পশ্চিমবঙ্গ।

এই বেসরকারি সংস্থা টি দেশের মোট ২৬ টি রাজ্যের মোট ৫৮৪ টি জেলার ১৬ হাজারেরও বেশি গ্রামের থেকে ৫২ হাজারেরও বেশি পরিবারকে বেছে নিয়েছিল তাদের সমীক্ষার জন্যে। গত ২০১৮ সাল থেকে চলতি ২০২০ সাল পর্যন্ত বছরের হিসেব খতিয়ে দেখেছে এই বেসরকারি সংস্থাটি। তাদের এই হিসেবে দেখা যাচ্ছে যে, পশ্চিমবঙ্গের স্কুল ছুটের পরিমাণ ৩.৩ শতাংশ থেকে কমে ১.৫ শতাংশতে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু সমগ্র দেশের ক্ষেত্রে স্কুলছুটের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেখানে তা ৪ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫.৫ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। সম্প্রতি কর্নাটকে স্কুলছুটের পরিমান ১১.৩ শতাংশ, তেলেঙ্গানায় যা ১৪ শতাংশ, রাজস্থানে যা ১৪.৯ শতাংশ। পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় যা যথেষ্টই বেশি। পশ্চিমবঙ্গের স্কুল ছুটের পরিমাণ কমাবার কারনই হল কন্যাশ্রী ও সবুজ সাথীর মত দুটি প্রকল্প।

অনেক সময় দেখা গেছে বিভিন্ন গ্রাম অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের মেয়েরা শিশুকালে স্কুলে ভর্তি হচ্ছে, কিন্তু পারিবারিক অভাব-অনটনের কারণে দীর্ঘদিন ধরে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছে না। পরিবারকে আর্থিক সাহায্য দিতে অল্প বয়সেই তাদেরকে জীবিকা ধরতে হচ্ছে। এর ফলে স্কুলে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। তাদের এই সমস্যা দূর করতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কন্যাশ্রী প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের মেয়েদের সরকারি অনুদানের মাধ্যমে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষায় সাহায্য করা হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষা ক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যার সুরাহা হয়ে স্কুল ছুটের পরিমাণ কমেছে।

অন্যদিকে রাজ্যের এমন অনেক প্রত্যন্ত এলাকা আছে যেখানে যানবাহনের অভাব রয়েছে। বাস, অটো, টোটো কোন কিছুই যেখানে পর্যাপ্ত নয়। এই সমস্ত ক্ষেত্রে বাড়ি থেকে স্কুলে দীর্ঘ দূরত্বের কারণে বিদ্যালয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হয় ছাত্র-ছাত্রীদের। তাদের এই সমস্যার সুরাহার জন্য ছাত্র-ছাত্রীদের সবুজ সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে সাইকেল প্রদান করা হয় রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। এই প্রকল্পের ফলেও স্কুলছুটের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্কুল শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কন্যাশ্রী প্রকল্পের মাধ্যমে নগদ অর্থ লাভ করছে পড়ুয়ারা। আর সবুজ সাথী প্রকল্পের মাধ্যমে তারা সাইকেল লাভ করছে। এর সঙ্গে সঙ্গেই মিড ডে মিল প্রকল্পের মাধ্যমে তাদের পেট ভরে খাবারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে স্কুল থেকে। আবার বিভিন্ন স্কলারশিপ দিয়ে ও বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক, স্কুলের পোশাক বিতরণ করে বিদ্যালয় মুখী করা হচ্ছে ছাত্র-ছাত্রীদের। এ কারণেই স্কুলছুটের সংখ্যা যথেষ্ট ভাবে কমেছে বলে শিক্ষা দপ্তরের জনৈক কর্তা মনে করছেন। এ প্রসঙ্গে শিক্ষা দপ্তরের এই কর্তা জানালেন যে, রাজ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা কমিয়ে শুন্যে আনার লক্ষ্যমাত্রা রেখেছেন তাঁরা।

অন্যদিকে বেসরকারি সংস্থার সমীক্ষায় রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে, রাজ্যে স্কুলছুটের পরিমাণ হ্রাস করা ছাড়াও, রাজ্যের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিলির ক্ষেত্রেও শীর্ষস্থানে আছে পশ্চিমবঙ্গ। রাজ্যের ৯৯.৭ % পড়ুয়ার কাছে বিনামূল্যে পৌঁছে যাচ্ছে স্কুলের পাঠ্য পুস্তক। এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে যথেষ্টই পেছনে রয়েছে উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট অন্ধপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র ইত্যাদি রাজ্য গুলি। এই রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে গড়ে যথাক্রমে ৭৯.৬, ৬০.৪, ৯৫, ৩৪.৬, ৮০.৮ স্কুলের পড়ুয়াদের পৌঁছে লকডাউন থাকার কারণে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

এভাবে রাজ্য সরকারের এই দুই প্রকল্পের হাত ধরে আবার দেশের মধ্যে আবার শীর্ষ স্থান লাভ করল পশ্চিমবঙ্গ। বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে বেসরকারি সংস্থার এই রিপোর্ট রাজ্য সরকারকে যথেষ্ট আনন্দিত করেছে। এর ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিরাট অ্যাডভান্টেজ লাভ করতে পারে রাজ্যের শাসকদল, এমনটাই বিভিন্ন বিশ্লেষকদের মতামত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!