এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > মমতার রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন অধীরের, ভোটের আগেই বেসামাল ঘাসফুল শিবির

মমতার রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন অধীরের, ভোটের আগেই বেসামাল ঘাসফুল শিবির


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামীকাল রয়েছে উপনির্বাচন ভবানিপুরে। ভবানিপুর মুখ্যমন্ত্রীর গড় বলেই পরিচিত। তবে ভবানীপুরের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বড়োসড়ো লড়াই দিচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল। আর এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিলেন অধীর চৌধুরী। তিনি জানালেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেঈমানীর জন্য খেতাব দেওয়া দরকার।

গতকাল গণমাধ্যমের সামনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানালেন যে, বাংলার মানুষের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও নরেন্দ্র মোদি একসঙ্গে হাত মিলিয়ে খেলা খেলছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রের সংস্থার নোটিশ পাঠাতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়ে ভিক্ষা চেয়েছেন। যাতে তার ভাইপোর কিছু না হয়। ভবানীপুরের সিট বাঁচাতে বিজেপির সঙ্গে মিউচুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং করেছে তৃণমূল, এমনই বিস্ফোরক বক্তব্য রাখলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী আরো জানালেন যে, তাপস পাল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলে রাখা হয়েছিল। তবে, সে সময় কোন কষ্ট হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যখনই নোটিশ দিয়েছে সিবিআই, তখনই নরেন্দ্র মোদির কাছে গিয়েছেন তিনি। যাতে তাঁর ভাইপোর কোন কিছু না হয়। তিনি কটাক্ষ করেছেন, ভাইপোকে বাঁচাতে গিয়ে মোহন ভাগবত, রাজনাথ সিং, নিতিন গড়করির সঙ্গে সেটিং করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র অমিত শাহের সঙ্গে তিনি সেটিং করতে পারেননি।

এরপর বিজেপির উদ্দেশ্যে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন, কংগ্রেস মুক্ত ভারত গঠন করতে চায় বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গে সেটাই চালু করতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতে সর্বগ্রাসী রাজনীতির নতুন মডেল হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করেছে, এর জন্য কংগ্রেস সৌজন্যতা দেখাতে ভবানীপুরে প্রার্থী দেয়নি। সোনিয়া গান্ধীও প্রার্থী দিতে অনিচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। এ কারণে তাঁরা প্রার্থী দেন নি।

এভাবে, ভবানীপুরে ভোটের মুখে যেভাবে ফাটালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, যেভাবে তাঁর রাজনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি, তাতে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!