এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাত্রা, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক, বড়োসড়ো চমকের অপেক্ষায় রাজনীতি মহল

মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লি যাত্রা, সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক, বড়োসড়ো চমকের অপেক্ষায় রাজনীতি মহল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব জয়ের পর এবার লক্ষ্য দিল্লির মসনদ দখল করার উদ্দেশ্য নিয়েই আজ দিল্লি যাত্রা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর মহড়া শুরু হয়েছে একুশে জুলাই এর ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে, বিজেপি বিরোধী সমস্ত শক্তিকে একজোট হবার ডাক দিয়েছেন তিনি। দিল্লিতে গিয়ে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও একাধিক বিরোধী নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হলো সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তাঁর বৈঠক।

করোনা সংক্রমণ থাকার কারণে দীর্ঘ সময় পর দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভার বাদল অধিবেশন চলাকালীন তাঁর এই দিল্লি যাত্রা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। অধিবেশন থাকার কারণে দেশের সমস্ত সাংসদদের সহজেই তিনি দিল্লীতে পেয়ে যাবেন। কাজেই সকলের সঙ্গে বৈঠক করাও অনেকটা সহজ সাধ্য হবে। মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লিতে গুরুত্বপূর্ণ একাধিক কর্মসূচি থাকলেও, সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হলো কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠক। এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকতে পারেন প্রশান্ত কিশোর। ইতিপূর্বে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের বৈঠক হয়ে গেছে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকের কথা নানা প্রশ্ন, নানা জল্পনা তৈরি করেছে রাজনৈতিক মহলে।

এক সময় মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী তাঁর রাজনৈতিক জীবনকে এক ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছিলেন। জানা যায়, একটা সময় রাজীব গান্ধী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যথেষ্ট প্রশংসা করেছিলেন। নির্বাচনে সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতে উৎসাহ পর্যন্ত দিয়েছিলেন তাঁকে। আর, এবার জাতীয় স্তরে লড়াইয়ের প্রারম্ভিক কালে সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চলেছেন তিনি। এদিকে, পেগাসাস কাণ্ড কংগ্রেস ও তৃণমূলকে অনেকটা কাছাকাছি এনে ফেলেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের পূর্বেও সমস্ত বিরোধীদের একজোট করার চেষ্টা করতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে। যার মধ্যে অন্যতম ছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেবার একাজ বেশিদূর এগোতে পারেনি। তবে, এবারের প্রেক্ষপট ভিন্ন। বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের একেবারে শূন্য হয়ে যাওয়া, একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেস দুর্বল হয়ে যাওয়া পরিস্থিতি অনেকটা বদলে দিয়েছে। তাই তৃনমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ড্যামেজ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করতে পারে কংগ্রেস।

আবার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোর বিরোধী বলে পরিচিত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী বিরোধিতার সুর অনেকটা নামিয়ে দিয়েছেন। উপনির্বাচনে ভবানীপুরে প্রার্থী না দেবার ইচ্ছা প্রকাশ করতে দেখা গেছে তাঁকে। তাই কংগ্রেস-তৃণমূল জোট সমীকরণ ক্রমশই যেন দূর থেকে নিকটের পথে এগিয়ে আসছে। যার ফলে জাতীয় রাজনীতিতে অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এক্ষেত্রে মহাজোটের সলতে পাকানোর কাজ অনেকটা দ্রুত এগিয়ে যাবে বলেই রাজনৈতিক মহলের অনুমান।

তবে, তৃণমূলের সঙ্গে জোট করলে কংগ্রেসের সুবিধা হবে? না অসুবিধা হবে? তা নিয়ে যথেষ্ট মতান্তর আছে। এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য জানালেন যে, পেগাসাসের বিরুদ্ধে লড়তে তৃণমূলকে সঙ্গী করে কংগ্রেস যখন এগোবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখনই বুঝতে হবে তারা ভবিষ্যতের কবর খুঁড়ছে। কারণ, পেগাসাসের সাহায্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের ফোনে আড়িপাতার কাজটি সফলতার সঙ্গে তৃণমূল করেছে এই রাজ্যে। তিনি জানালেন, জোট করলে সামরিক প্রভাব পড়লেও বেশিদূর এগোবে না। পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেসীরা জানেন যে, তাঁদের দলটাকে গিলে খেয়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের সঙ্গে আঁতাত করলে কংগ্রেসের সাইনবোর্ডটাও থাকবে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!