এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার উল্টো পথে হেঁটে জঙ্গলমহলে শুভেন্দুর বড় বার্তা, ফের জল্পনা তুঙ্গে

মমতার উল্টো পথে হেঁটে জঙ্গলমহলে শুভেন্দুর বড় বার্তা, ফের জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন দল কিংবা সরকারের কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে দেখা যাচ্ছিল না তাকে। তবে সেভাবে তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে দলের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়েছে, এরকম কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। কিন্তু এবার স্বয়ং দলনেত্রীর বক্তব্যের বিরোধিতা করতে শোনা গেল রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে। কিছুদিন আগেই ঝাড়গ্রামে এসে প্রশাসনিক সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, জঙ্গলমহলের সমস্ত কাজ হয়ে গিয়েছে।

আর রবিবার বিকেলে সেই ঝাড়গ্রামের নেতাই গ্রামে এসে শুভেন্দুবাবু জানিয়ে দিলেন, “এলাকার অনেকে বাড়ি পাননি। রয়েছে কাজের দাবি। আর এই নিয়ে সাধারণ মানুষের যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে।” স্বাভাবিকভাবেই দলনেত্রীর প্রতি আজীবন আনুগত্য প্রকাশ করে আসা শুভেন্দু অধিকারীর গলায় এই রকম কথা শুনতে পাওয়ায় এখন রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, তাহলে কি এবার ব্যাট ঘোরানো শুরু করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী? তাই প্রকাশ্যে ময়দানে নেমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের বিরোধিতা করতে দেখা গেল তাকে!

বস্তুত, বর্তমানে দল কিংবা সরকারের কোনো কর্মসূচিতে না গেলেও নিজের মতো করে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন শুভেন্দু অধিকারী। এদিন লালগড়ের নেতাই গ্রামে ব্যক্তিগত উদ্যোগে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী। আর সেখানেই সরকারের একজন মন্ত্রী এবং তৃণমূলের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সব কাজ করে দেওয়ার তত্ত্বকে মানেননি শুভেন্দুবাবু।

তিনি বলেন, “গত 27 জানুয়ারি যখন এসেছিলাম, গ্রামবাসীর ব্যাপক ক্ষোভ দেখি। আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা চিরদিনই আছে, থাকবে। কিন্তু কমিউনিটি হলের আলোচনায় তারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের একাংশের অসহযোগিতার কথা বলেছিলেন। সত্যি কি মিথ্যা এসবের মধ্যে যাব না। তবে গ্রামবাসীরা অনেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন। নেতাই মামলার সাক্ষীরাও ঠিকমতো সহযোগিতা পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছিলেন। সেদিন আটজন কর্মসংস্থানের কথা বলেছিলেন। তিনজন চল্লিশোর্ধ হওয়ায় কাজের ব্যবস্থা করতে পারিনি। তবে পাঁচজনের ছোটখাট কাজের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। বাড়ি পাইনি বলে অনেকে অভিযোগ করেছিলেন। তাদের সতীশ সামন্ত ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট থেকে 17 টি বাড়ি বানিয়ে দিয়েছি। আকাশের চাঁদ আমি ধরিয়ে দিতে পারব না। ঘরে ঘরে চাকরি, লক্ষ লক্ষ টাকা দিয়ে বড়লোক করে দিতে পারব না। কিন্তু ন্যূনতম যে সহযোগিতা করা সম্ভব, সেটা করব।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর এই মন্তব্যে এখন ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। তাহলে কি দলের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছেন শুভেন্দু অধিকারী? আর তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত কাজ হয়ে গেছে বললেও, তিনি এই কথার মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিতে চাইলেন যে, এখনও পর্যন্ত সমস্ত কাজ করে ওঠা সম্ভব হয়নি! কিন্তু এই কথা বলে তো তিনি আদতে তার দল তৃণমূল কংগ্রেসকে অস্বস্তিতে ফেলে দিলেন! এখন এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিশেষজ্ঞরা। একাংশ বলছেন, তৃণমূলে সাংগঠনিক গুরুত্ব না পাওয়ার পর থেকেই সক্রিয় মন্ত্রী এবং নেতা হিসেবে দেখা যাচ্ছে না শুভেন্দুবাবুকে। যার ফলে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। আর এবার তার এই মন্তব্যে নতুন করে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ল।

তাহলে কি শুভেন্দুবাবুর কথা সত্যি? সত্যিই কি জঙ্গলমহলে অনেক কাজ বাকি রয়েছে? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র সুব্রত সাহা বলেন, “জঙ্গলমহলে কি পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে, তা চোখেই দেখা যায়।” স্বভাবতই শুভেন্দু অধিকারী মত দক্ষ সাংগঠনিক ব্যক্তিত্ব এবং রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী এই কথা বলায় তিনি যে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধাচরণ করলেন, তা কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে সকলের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে এবার তৃণমূলের অস্বস্তি কতটা বাড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!