এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মানবাধিকার কমিশনের জবাব দিতে জোড়দার প্রস্তুতি তৃণমূল সরকারের, বাড়ছে উত্তেজনার পারদ

মানবাধিকার কমিশনের জবাব দিতে জোড়দার প্রস্তুতি তৃণমূল সরকারের, বাড়ছে উত্তেজনার পারদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টকে কড়া জবাব দিতে উদ্যত হল রাজ্য সরকার। কার্যত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তা অত্যন্ত বিস্ফোরক বলে চিহ্নিত হয়েছে। কার্যত এই রিপোর্টে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারকে পুরোপুরি দায়ী করেছে। এমনকি এরাজ্যে আইনের শাসন নয়, বরং শাসকের আইন চলছে বলেও অভিহিত করা হয়েছে। একইসাথে তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা-নেত্রী, মন্ত্রীকে, বিধায়ককে প্রখ্যাত দুষ্কৃতী বলে অভিহিত করা হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে।

আর এই কথা সামনে আসতেই রাজ্য জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বিধায়ক পার্থ ভৌমিক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান, প্রাক্তন বিধায়ক উদয়ন গুহকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি বাংলাকে বদনাম করার জন্যই এই চেষ্টা বলে দাবি করেছেন তিনি। অন্যদিকে হাইকোর্টে এবার পাল্টা রাজ্য সরকার লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব শুক্রবার একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এবং সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছে, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টের পুঙ্খানুপুঙ্খ জবাব দেওয়া হবে। প্রয়োজনে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টেও যাবে বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যেসব নেতাকে কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে আখ্যা দিয়েছে, তাঁদের পাশেই থাকবে রাজ্য সরকার এবং তাঁদেরকে মানহানির মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে সূত্রের খবর, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার 2000 অভিযোগের ভিত্তিতে এবার সিবিআই তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে, যা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশন রাজ্য সরকারী আধিকারিকদের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছে।

একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই রিপোর্ট তৈরি হয়েছে শুধুমাত্র বাংলাকে বদনাম করার জন্য। নিজেদের হার মেনে নিতে না পেরে বিজেপি শেষ পর্যন্ত এই রাস্তা অবলম্বন করেছে। আপাতত রাজ্য সরকার এবং মানবাধিকার কমিশনের লড়াই জমে উঠেছে। কার্যত আগামী 22 শে জুলাই হাইকোর্টে পরবর্তী শুনানি। সেই শুনানিতে রাজ্য সরকার কি জবাব দেয়, এখন সেদিকেই লক্ষ্য সবার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!