এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে কেন তাঁদের রাখা হয়েছে কুখ্যাত দুষ্কৃতীর তালিকায়?প্রশ্ন তৃণমূল নেতার

মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে কেন তাঁদের রাখা হয়েছে কুখ্যাত দুষ্কৃতীর তালিকায়?প্রশ্ন তৃণমূল নেতার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির পক্ষ থেকে। অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপির কর্মীদের ওপর প্রবল মারধর, হেনস্থা করা হয়েছে। বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। চলেছে ব্যাপকহারে লুটতরাজ। মহিলারা পর্যন্ত অত্যাচারের হাত থেকে রেহাই পাননি। বহু ক্ষেত্রে শারীরিক নিগ্রহের শিকার হতে হয়েছে মহিলাদের। এ বিষয়ে একাধিক অভিযোগ ওঠার পর হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তে নামে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। সেই রিপোর্টে একাধিক তৃণমূল নেতাদের কূখ্যাত দুষ্কৃতীর তালিকায় রাখা হয়েছে।

কুখ্যাত দুষ্কৃতীর তালিকায় রাখা হয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, তৃণমূল বিধায়ক পার্থ ভৌমিক সহ একাধিক নেতাকে। কেন তাঁদের কুখ্যাত দুষ্কৃতীর তালিকায় রাখা হয়েছে? তা জানতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হলেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, পার্থ ভৌমিক প্রমুখরা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন যে, একতরফাভাবে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। কোন যুক্তিতে এই রিপোর্টে তাঁদের সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য করা হয়েছে? হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চকে তা খতিয়ে দেখার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। এর সমাধান হওয়ার পরেই এই মামলার পরবর্তী অংশের শুনানির দাবি করতে দেখা গেছে তাঁদের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার সিবিআই তদন্ত বা সিট্ গঠন করে তদন্তের যে কথা বলা হয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে, তারও বিরোধিতা করেছেন বিধায়কেরা। এ প্রসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁদের আরজির নিষ্পত্তি না করে আদালত যেন এ বিষয়ে কোন পরবর্তী নির্দেশনা না করে। তবে, একথা ঠিক যে, ভোট-পরবর্তী হিংসার বিষয়ে ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিয়েছে রাজ্য। তাই নতুন করে তাঁদের আবেদন আদৌ আদালত গ্রহণ করবে কিনা? তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। এক্ষেত্রে তাঁদের হলফনামা জমা নেওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই, একাধিক আইনজীবীর মতামত। তবে সবকিছুই নির্ভরশীল আদালতের ওপরে। আজ বুধবার ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলার শুনানি হতে চলেছে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে। গত সোমবার এর হলফনামা জমা দেওয়ার শেষ সুযোগ দেয়া হয়েছিল।

অন্যদিকে, আদালতে পেশ করা রাজ্যের হলফনামায় অভিযোগ করা হয়েছে যে, মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট, একতরফা, অতিরঞ্জিত, মনগড়া ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এর পেছনে কোন বড়োসড়ো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। ইচ্ছা করে রাজ্যের বিরুদ্ধে নেতিবাচক রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। অসংখ্য পুলিশ কর্মী ও প্রশাসনের সদস্যদের সম্মানহানি করা হয়েছে। এক্তিয়ার বহির্ভূতভাবে কাজ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। রাজ্য প্রশ্ন করেছে, ভোট পরবর্তী হিংসার রিপোর্টে মানবাধিকার কমিশন কোন অধিকারে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে? বা সিট গঠন করে তদন্তের সুপারিশ করেছে? বা রাজ্যের বাইরে তদন্তের দাবি করেছে?

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!