এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > বিজেপি নেতা-কর্মীদের ‘জামাই আদর’ করতে গিয়েই কি বদলি পুলিশ অফিসার? রাজ্যজুড়ে তীব্র বিতর্ক!

বিজেপি নেতা-কর্মীদের ‘জামাই আদর’ করতে গিয়েই কি বদলি পুলিশ অফিসার? রাজ্যজুড়ে তীব্র বিতর্ক!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সম্প্রতি হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃত্যু ঘিরে শুরু হয় তুমুল হইচই। অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের ভিত্তিতে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় তুমুল আলোড়ন। তারই মধ্যে প্রতিবাদ জানাতে উত্তরবঙ্গ জুড়ে বন্ধের ডাক দেয় গেরুয়া শিবির। এবং বনধ সফল করতে নেমে শতাধিক বিজেপি কর্মী সমর্থক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। যদিও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হলেও দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ হয়েছে অনেকটা বিয়ে বাড়ির আদলে। বিজেপি কর্মীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ফয়েলে মোড়া গরম ভাত আর পাঁঠার মাংস।

যা খেয়ে রীতিমতো তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে গ্রেপ্তার হওয়া বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু বিজেপি কর্মীদের হাতে এহেন মধ্যাহ্নভোজ ধরানোর কারণে এবার বদলি হতে হলো জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার আইসিকে। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অভিষেক মোদি জানিয়েছেন, একজন পুলিশ আধিকারিক এর চাকরির অন্যতম শর্ত হলো বদলি। জানা গেছে, কোতোয়ালি থানা থেকে এবার পূর্ব মেদিনীপুরের কন্টাই এর কোর্ট ইন্সপেক্টর হিসেবে বদলি করা হল আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকারকে।

অন্যদিকে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, হঠাৎ করে এহেন বদলির নির্দেশ কেন? কারণ জলপাইগুড়ি শহরের মানুষের বক্তব্য, কোতোয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয়বাবুর আমলে শহর জুড়ে যেমন অপরাধ কমেছে, তেমনি বিভিন্ন সামাজিক কাজেও তিনি এগিয়ে এসেছেন। তবে কোতোয়ালি থানার আইসি বদলির সঙ্গে রাজনৈতিক কোনো মিল নেই বলেই দাবি জানাচ্ছে শাসকদল। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের উত্তরবঙ্গের কোর কমিটির নতুন চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ”আইসি বদলির সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। নিয়ম মেনে রুটিন বদলি করা হয়েছে তাঁকে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর কারণে উত্তরবঙ্গ জুড়ে বন্ধের ডাক দেয় বিজেপি। যা সফল করতে নেমে স্বাভাবিকভাবেই জনজীবনে বাধা সৃষ্টি করে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। যার ফলে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে বিজেপির শতাধিক নেতাকর্মীকে। নিয়ে আসা হয় তাদের জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায়। এরপর দুপুর গড়াতেই ধৃতদের মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করতে নেমে পড়েন পুলিশকর্মীরা এবং নিয়ে আসা হয় ধৃতদের পছন্দের খাসির মাংস এবং ভাত।

অন্যদিকে কোতোয়ালি থানার আইসি বদল এর সঙ্গে রাজনৈতিক মিল শাসক শিবির অস্বীকার করলেও বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘটনা পরম্পরা সেদিকেই নির্দেশ করছে। অন্যদিকে আইসি বদল নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি গেরুয়া শিবির। তবে মনে করা হচ্ছে, প্রশাসনিক মহল থেকে বিরোধী শিবিরের প্রতি নেকনজর বেশি দেওয়ায় আইসির ওপরে বদলির খাঁড়া নেমে এসেছে। সামনের কয়েকদিন যে আইসি বদল নিয়ে বাংলার  রাজনৈতিক মহলে তুমুল বিতর্ক চলবে সেকথা একবাক্যে স্বীকার করে নিচ্ছে সবাই।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!