এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মাংস-ভাতের ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে না পারায় পুরোনো তৃণমূল কর্মীকে ফেলে পেটালেন তৃণমূল নেতা

মাংস-ভাতের ১০ হাজার টাকা চাঁদা দিতে না পারায় পুরোনো তৃণমূল কর্মীকে ফেলে পেটালেন তৃণমূল নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার কলকাতার বুকে তৃণমূলের বেপরোয়া আচরণ। দীর্ঘদিনের তৃণমূলের কর্মীকে মার খেতে হল তৃণমূলেরই অন্য আরেক গোষ্ঠীর হাতে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। অন্যদিকে তৃণমূলের অন্দরেই এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র গুঞ্জন। রাজনৈতিক মহলেও এই ঘটনাকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোরদার চর্চা। ঘটনাটি ঘটে কলকাতার শ্যামপুকুর অঞ্চলে। সম্প্রতি সেখানে একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

দীর্ঘদিনের তৃণমূল কর্মী জয় দাসের কাছে এলাকার যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি খোকন দাসের দলবল 10000 টাকা চেয়ে বসে চাঁদা হিসেবে। কিন্তু তৃণমূল কর্মী জয় দাস সেই টাকা দিতে অস্বীকার করেন। যার ফলে বেধড়ক পেটানি খেতে হয় তাঁকে খোকন দাসের অনুগামীদের হাতে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত আটটা নাগাদ শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ের পাশে খোকন দাসের অনুগামীরা বেধড়ক মার দেয় তৃণমূল কর্মী জয় দাসকে।

অন্যদিকে জয় দাস এই ঘটনায় হতাশা চেপে রাখতে পারেননি। দীর্ঘদিন তৃণমূল করার পর তাঁকে এ ধরনের ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে একথা তিনি ভাবতে পারেননি বলেই জানিয়েছেন। তাঁর বয়ানে জানা গেছে, গত 15 তারিখ যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি খোকন দাসের ছেলেরা 10000 টাকা চেয়ে বসে তাঁর কাছে মাংস ভাত খাবে বলে। কিন্তু জয় দাস স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, তাঁর কাছে 10 হাজার টাকা নেই বলে। এরপরেই খোকন দাসের অনুগামীরা তাঁর ওপর চড়াও হয়ে মারধর করে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, জয় দাসের মাথায় আঘাত লেগেছে এবং ওনার চোখেও চারটে সেলাই পড়েছে। জয় দাস ঘটনার সম্পূর্ণ বিবরণ দিয়ে শ্যামপুকুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং দোষীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন যুব তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি খোকন দাস। তিনি মিথ্যা অভিযোগের শিকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, এই ঘটনা প্রমাণ করে দিচ্ছে তৃণমূলের অন্দরের কিছু কর্মীদের বেপরোয়া আচরণ অত্যধিক মাত্রায় বেড়ে উঠেছে।

এই তৃণমূল কর্মীদের বেপরোয়া আচরণ যদি বন্ধ করা না যায় তাহলে তার অনিবার্য ছাপ পড়বে আগামী দিনে তৃণমূল দলের ওপর বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। সামনেই আসছে একুশের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই তৃণমূল শিবিরের কিছু কর্মীদের বেপরোয়া কাজকর্ম দেখে অবিলম্বে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কৃত করা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দলীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!