এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > মণীশ শুক্লা মৃত্যু-রহস্য! এবার তৃণমূলকে ল্যাজেগোবরে করতে বড়সড় পদক্ষেপের পথে গেরুয়া শিবির?

মণীশ শুক্লা মৃত্যু-রহস্য! এবার তৃণমূলকে ল্যাজেগোবরে করতে বড়সড় পদক্ষেপের পথে গেরুয়া শিবির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সম্প্রতি একটার পর একটা ঝামেলায় জড়াতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল বিজেপিকে। নবান্ন অভিযান নিয়ে যেখানে একদিকে দেখা গেছে অশান্তি, সেখানে ব্যারাকপুরে মণীশ শুক্লা মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের শাসক দলের ওপর চড়াও হয়েছে বিজেপি। তৃণমুলই যে ইচ্ছাকৃত বিজেপির সামনে অশান্তি সৃষ্টি করতে এই কাজ করেছে সেই কথা শোনা গেছে ইতিমধ্যে। তবে এই সমস্যা যে সহজে মিটবে না, সেই কথাও কিন্তু কিছু কষ্ট কল্পনা নয়।

অনুমান মতই প্রত্যাশা মতোই মনীশ শুক্লা খুনের ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবিতে বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য বিজেপি। দলের তরফে এদিন আদালতে যেতে দেখা যায় বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে। এদিন মামলায় বলা হয়, পুলিশই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত। আর সেই কথা নাকি স্বীকার করে অভিযোগ করেছে মনীশ শুক্লার পরিবারও। তাই রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা শাখা বা সিআইডি ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত করবে না বলেই আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তাই এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয়েছে আদালতে। তবে এখানে প্রশ্ন উঠতে দেখা গেছে যে, যার পরিবারের অভিযোগ, সেই পরিবার থেকে কেউ আদালতে এলো না কেন?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়ালকে বলতে শোনা গেছে যে, মণীশ নিজে একজন আইনজীবী ছিলেন। তাছাড়া খুনের ঘটনার পর থেকেই তাঁর গোটা পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। কারণ পুলিশ নাকি তাদের বারবার হুমকি দিচ্ছে। আর তাই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হতে ভয় পাচ্ছেন। আর সেই জন্যই নাকি আইনজীবী হিসেবে এই ঘটনায় তিনি মনীশের পরিবারের হয়ে আদালতের কাছে আর্জি জানাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, পুলিশের দিকে সব অভিযোগ জানিয়ে তিনি সরাসরি ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার মনোজ ভার্মার দিকে নিজের অভিযোগের তীর ছুড়েছেন। তিনিই নাকি খুনের পর পরিবারকে হুমকি দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করছে রাজ্য বিজেপি।

অন্যদিকে, গোটা রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতির কথা তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে এই ধরনের ঘটনার কারণে শিক্ষিত মানুষ যে রাজনীতিতে আসতে চাইছেন না, সেই অভিযোগও শোনা গেছে তাঁর কণ্ঠে। তাঁর দাবি পুলিশের মাধ্যমে নাকি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে। তবে আগামী সোমবার মামলার শুনানি সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গেছে। এরই মধ্যে, মণীশ শুক্লার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় তাঁর বাড়ি যেতে দেখা যায় রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তবে তিনি একা ছিলেন না, তাঁর সঙ্গে ছিলেন অর্জুন সিং ও কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক। এদিন তাঁদেরকে কথা বলতে দেখা যায় প্রয়াত নেতার স্ত্রী ও বাবা-মায়ের সঙ্গে। সেই সঙ্গে তাদের পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন তাঁরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!