প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে মানবিক মুখ লক্ষ্য করা গেল মালদহ জেলা তৃণমূল সভানেত্রী ও সেইসঙ্গে রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মৌসম বেনজির নূরকে। প্রসঙ্গত গত বুধবার গভীর রাতে ‌টাঙন নদীর জলস্ফীতিতে ভেঙে পড়ে গাজোলের কদুবাড়ির কাছে টাঙ্গন নদীর বাঁধের কিছু অংশ। গাজোলের চাকনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কদুবাড়ি গ্রামে নদীর বাঁধের প্রায় ৬০ মিটার অংশ ভেঙে যায়। বাঁধের ভগ্ন অংশ দিয়ে প্রবল বেগে টাঙ্গন নদীর জল চাকনগর ও সালাইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কয়েকটা গ্রামকে প্লাবিত করে।

চাকনগর ও সালাইডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার প্রায় ১০০ টি বাড়ি চলে যায় জলের তলায়। বিপন্ন হয়ে পড়েন অসংখ্য গ্রামবাসী। বিপন্ন এই গ্রামবাসীদের দুঃসহ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করলেন মালদহ জেলা তৃণমূল সভানেত্রী ও সেইসঙ্গে রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম বেনজির নূর। প্রবল জলস্ফীতিতে প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে একাধিক এলাকা।

চাকনগর ও সালাইডাঙ্গা গ্রামের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করতে মৌসম নূর ছাড়াও উপস্থিত হয়েছিলেন মালদহ জেলা শাসক রাজর্ষি মিত্র ও অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে বন্যাদুর্গতরা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। যোগাযোগের জন্য তাদের কাছে পর্যাপ্ত নৌকাও নেই। প্রশাসনের কাছে নৌকার আবেদন রাখলেন দুর্গতরা। গ্রাম দুটি নৌকায় ঘুরে দেখলেন রাজ্যসভার সাংসদ, জেলাশাসক ও আধিকারিকেরা। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আশ্বাস দিলেন মৌসম নূর।

ক্ষতিগ্রস্ত এই নদীবাঁধের দ্রুত ও স্থায়ী মেরামতের আশ্বাস দিলেন তিনি। তাঁর কথায়,” বাঁধটি স্থায়ীভাবে সমাধানের ব্যবস্থা করা হবে।” তবে, এ প্রসঙ্গে তিনি আরও জানান যে, এখনও এই অঞ্চলে জলের প্রাবল্য থাকায়, এই মুহূর্তে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করা সম্ভব নয়। তবে জল একটু কমে গেলেই দ্রুত শুরু করা হবে মেরামতির কাজ। বন্যা দুর্গত মানুষদের সঙ্গে কথা বলে, তাদের বিভিন্ন দাবি ও অভাব-অভিযোগ পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।