এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যের মন্ত্রী ও অনুব্রতর দ্বন্দ এবার প্রকাশ্যে, তীব্র সমালোচনা রাজনৈতিক মহলে

রাজ্যের মন্ত্রী ও অনুব্রতর দ্বন্দ এবার প্রকাশ্যে, তীব্র সমালোচনা রাজনৈতিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এতদিন পর্যন্ত তৃণমূলের নীচুস্তরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছিল, কিন্তু এবার বীরভূমের দুই উচ্চস্তরের দলীয় নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো। লোকসভা নির্বাচনের পরেই দলনেত্রী নির্দেশ দিয়েছিলেন দলীয় কর্মীদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার জন্য। কিন্তু সে কথায় তৃণমূলের কোন স্তরেই যে কাজ হয়নি তা আবারও স্পষ্ট হলো। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের অন্যতম দুর্বলতা একমাত্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার বর্ধমান জেলার দুই নেতার মতপার্থক্য পরিষ্কার সামনে এল।

সম্প্রতি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে দলের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল একটি সম্মেলনের ডাক দেন। কিন্তু সেই সম্মেলনে স্থানীয় বিধায়ক সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর অনুপস্থিতি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অন্যদিকে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর অনুপস্থিতি নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল করেছেন তীব্র কটাক্ষ। পাল্টা কটাক্ষও শোনা গেছে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর মুখে। সম্প্রতি মঙ্গলকোটের মাথরুন নবীনচন্দ্র বিদ্যায়তনে তৃণমূলের সম্মেলনে যোগ দিতে আসেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।

তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলার সহ-সভাপতি রানা সিংহ, বোলপুরের সাংসদ অসিত মাল। এছাড়াও এই সম্মেলনে ক্ষীরগ্রামের একুশটি বুথ, শিমুলিয়া 2 এর 10 টি বুথ এবং কৈচর 1 এর 12 টি বুথ কমিটিকে ডাকা হয়। যদিও প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে, করোনা পরিস্থিতিতে কিভাবে এতজন মিলে সম্মেলন হলো? খোলাখুলি প্রশ্ন উঠেছে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তার দিকে। অনুব্রত মণ্ডল এদিনের সভায় বিভিন্ন এলাকায় ভোটে তৃণমূলের পিছিয়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন করেন এবং আগামী দিনে ভোট বাড়ানোর বিভিন্ন পরিকল্পনা করেন বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে সম্মেলন শেষে অনুব্রত মণ্ডল এদিন প্রার্থী হিসেবে নাম করেন শেখ সাহনেওয়াজের, যিনি বর্তমানে কেতুগ্রামের বিধায়ক বলে পরিচিত। এবং তারপরেই তিনি মঙ্গলকোটের বিধায়ক তথা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর প্রতি কটাক্ষ করে বলেন, ব্যস্ত থাকায় সিদিকুল্লা চৌধুরী দলের কর্মসূচিতে আসতে পারেন না, চিঠি দিলেও দপ্তর তাঁকে দেয়নি বলে জানান অনুব্রত। পাল্টা মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এদিন অনুব্রত মণ্ডলের কথায় জানান, তাঁকে কর্মসূচির কোন চিঠি দেওয়া হয়নি। কারণ, তাঁকে তৃণমূলের কোনো কর্মসূচিতে ডাকা হয়না।

তবে তিনি বলেন, প্রার্থী যেই হোক না কেন মিলেমিশে প্রত্যেকে কাজ না করলে অবশ্যম্ভাবী দলের ফল খারাপ হবে। অন্যদিকে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী এবং অনুব্রত মণ্ডলের কটাক্ষ, পাল্টা কটাক্ষ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। এমনকি তৃণমূলের দলের অন্দরেও শোনা যাচ্ছে আলোচনা। প্রশ্ন উঠেছে, দুজন বড় নেতার রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের কারণে দলের কোন ক্ষতি হবে নাতো? তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক রেষারেষিকে দূরে সরিয়ে রেখে যদি একসাথে মিলে দলের জন্য কাজ করা হয়, তাহলে তার ফল হাতেনাতে পাওয়া যাবে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!