এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কি প্রতিক্রিয়া শাসকদলের? আসুন জেনে নিন

মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, কি প্রতিক্রিয়া শাসকদলের? আসুন জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  আবার বড় ধাক্কা শাসকদল তৃণমূলের। আজ মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিলেন বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি, তেমনি পদত্যাগ পত্র দিলেন রাজ্যপালের কাছে। তবে এখনো পর্যন্ত তিনি বিধায়ক পদ ও দলের সাধারণ সদস্য পদ ছেড়ে দেননি। তবে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তাঁর মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেওয়া নিঃসন্দেহে দলের কাছে একটা বড় ধাক্কা। প্রধানমন্ত্রী আসার একদিন আগেই তাঁর এই পদক্ষেপে যথেষ্ট অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল।

বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীত্ব ত্যাগ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানান, এটাই আশা করেছিলেন তিনি। অনেকগুলি মন্ত্রিসভার বৈঠকে যাননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন, সেটা ভালোই হয়েছে। তিনি নিজে কোন কাজ করছিলেন না। তাঁর উচ্চাশার সঙ্গে তাল মেলাতে পারে নি দল। তাই তিনি পদত্যাগ করেছেন বলে ভালোই হয়েছে, না হলে দলকেই তাঁর বিরুদ্ধে পদত্যাগের মতো ব্যবস্থা নিতে হতো।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষ জানান, তাঁরা এটা জানেন ও শুনেছেন। দলের প্রতি ক্ষোভ থাকতেই পারে। কিন্তু ক্ষোভ থাকা মানেই, দল ছাড়া উচিত নয়। মানুষ এর বিচার করবেন। তিনি দাবি করেছেন যে, ডোমজুড়ে তৃণমূলে জয়লাভ করবেই। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় জানালেন যে, এতে দলের কোনো ক্ষতি হয়নি। বহু দিন ধরেই অনেক রকম আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এটা নতুন কোন বিষয় নয়, যা প্রত্যাশিত ছিল। তিনি জানালেন যে, দল সকলের অভিযোগ দেখেছে। তাই দলের সঙ্গে তাঁর কথা বলা উচিত ছিল। অনেকের সঙ্গেই তিনি বারবার বৈঠক করেছেন। হয়তো তাঁর দাবি মেনে নেওয়া দলের পক্ষে সম্ভব হয়নি। কিন্তু নির্বাচনের পূর্বে দল ছেড়ে যাওয়া মানে, দলকে বিপদে ফেলে দেওয়া। যারা এটা করছেন তাঁরা গদ্দার, মীরজাফরের তালিকায় থাকবেন। তিনি জানালেন, দলের জন্য কারোর যাওয়াটাই ক্ষতি নয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই শেষ কথা। তাঁকে ভালবেসে সকলে দলে রয়েছেন। লাভ-ক্ষতির হিসেব করতে অপেক্ষা করতে হবে।

তৃণমূল বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া জানালেন যে, দারুন কাজ করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই পদক্ষেপ দলের জন্য একটা বিরাট ক্ষতি। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঝামেলায় ফেলার বহুবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তা করে উঠতে পারেনি। তাঁর মন্ত্রিত্ব ছাড়ায় হাওড়া জেলার বিরাট ক্ষতি হলো। তিনি জানিয়েছেন যে, কখনোই একা দল চলে না, সবাইকে নিয়েই দলকে চলতে হয়। মানুষের সেবাই একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত, যে কোন দলের। সেটা যদি না দিতে পারে, তবে লজ্জার আর কিছু থাকতে পারে না। তিনি জানান, কিছু উইপোকা আছে, যাদের বিরক্ত করে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে। তিনিও ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছেন। তারও পেছনে লাগা হয়েছে।

অন্যদিকে বন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিজেপিতে স্বাগত জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি জানালেন যে, বিজেপির দরজা বহুদিন ধরেই খোলা আছে। তাঁকে স্বাগত জানানো হয়েছে। তিনি বিজেপিতে এলে লাভবান হবেন। বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার জানালেন যে, এটা একান্তই তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। যা তৃণমূলের অভ্যন্তরীন বিষয়। পরবর্তীতে তিনি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন? সেদিকে তাঁরা ও সাধারণ মানুষ নজর রাখছেন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!