এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মানভঞ্জনের জন্য ডাক পড়লো জিতেন্দ্রর, শীর্ষ নেতৃত্ব বসতে চলেছেন মিটিঙে

মানভঞ্জনের জন্য ডাক পড়লো জিতেন্দ্রর, শীর্ষ নেতৃত্ব বসতে চলেছেন মিটিঙে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  তৃণমূল শিবিরে এই মুহূর্তে চলছে ব্যাপক টালমাটাল পরিস্থিতি। একের পর এক সাংসদ, বিধায়ক দলে থেকে কিংবা দল থেকে বেরিয়ে বিদ্রোহ প্রকাশ করছেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে যা অত্যন্ত অস্বস্তিজনক এই মুহূর্তে তৃণমূল শিবিরের কাছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর ঘটনা সবার জানা। তার মধ্যেই নতুন করে আবার তৃণমূলকে বিক্ষুব্ধ মনোভাব জানিয়ে অস্বস্তিতে ফেললেন আসানসোল কর্পোরেশন এর পুর প্রশাসক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ব্যাপক টানাপোড়েনের মধ্যেই এবার জিতেন্দ্র তিওয়ারির মান ভাঙাতে তৃণমূল শিবির বসতে চলেছে বৈঠকে।

এদিন জিতেন্দ্র তিওয়ারি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করে সম্প্রতি তিনি পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে একটি চিঠি দিয়েছিলেন। আর সেই চিঠি নিয়েই বেঁধেছে যত বিতর্ক। প্রসঙ্গত জানা গেছে, জিতেন্দ্র তিওয়ারি চিঠিতে তিনি কেন্দ্রীয় স্মার্ট যোজনার আওতায় আসানসোলের 2000 কোটি টাকা না পাওয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন। স্রেফ রাজনৈতিক কারণেই আসানসোলের উন্নতি হয়নি বলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। কেন্দ্রীয় প্রকল্পকে বাতিল করলেও রাজ্য সরকার আসানসোলের জন্য কোন প্রকল্প অনুমোদন করেনি বলে এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চিঠিতে আসানসোলের পুর প্রশাসক। অন্যদিকে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই দলের পক্ষ থেকে বিক্ষুব্ধ প্রতিটি নেতার সাথে কথা বলা হয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে যেমন সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, সেরকমই বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এর মান ভাঙানোর পর্বে মুখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে সেখানেও ছিলেন প্রশান্ত কিশোর। আর এবার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ডেকে পাঠানো হলো কলকাতায়। এ খবর জানিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি স্বয়ং। জানা গিয়েছে, জিতেন্দ্র তিওয়ারি সঙ্গে বৈঠকে থাকতে চলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রশান্ত কিশোর, ফিরহাদ হাকিম সহ আরো বেশ কয়েকজন নেতা।  চিঠি প্রসঙ্গে জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানান, চিঠিটি অত্যন্ত গোপনীয় ছিল। তা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে গেছে রাজনৈতিক মহলেও।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রশ্ন ওঠে, গোপনীয় চিঠি কিভাবে সামনে এলো? পাশাপাশি জল্পনা শুরু হয়েছে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়েও। অন্যদিকে জিতেন্দ্র নিজেও এই চিঠি প্রকাশের ব্যাপার নিয়ে অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে চিঠি তিনি অত্যন্ত গোপনীয়ভাবে মন্ত্রীকে লিখেছেন, সেকথা সংবাদমাধ্যমে কেন এলো? অন্যদিকে বিজেপির আইটি সেল এর প্রধান অমিত মালব্য জিতেন্দ্র তিওয়ারি সেই চিঠি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় দিয়ে দিয়েছেন। জিতেন্দ্র তিওয়ারি জানিয়েছেন, আগামীকাল যে বৈঠক হতে চলেছে, সেখানেই তিনি দলকে তাঁর সমস্ত ক্ষোভের কথা জানাবেন। অন্যদিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারির উদ্দেশ্যে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, বিজেপির সঙ্গে কথা বলেই এত কিছু ঘটেছে।

তার জবাবে জিতেন্দ্র তিওয়ারি পাল্টা কটাক্ষ করেন ফিরহাদ হাকিমকে। জবাব দিয়ে তিনি বলেন, আসানসোলে যখন বিজেপি একটার পর একটা পার্টি অফিস দখল করে নিচ্ছিল, তৃণমূল কর্মীদের মারধর চালাচ্ছিল, তখন এলাকায় পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে দেখা যায়নি। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মহলে চলছে তীব্র চাঞ্চল্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, একের পর এক তৃণমূলের সক্রিয় নেতা যেভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছেন তাতে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল শিবির বড় বিপর্যয়ের মুখে পড়তে চলেছে। সে কথা মেনে নিচ্ছেন তৃণমূলের অন্দরের বহু নেতাও। আর তাই জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে শান্ত করার জন্যই কলকাতায় দাক পড়েছে তাঁর বলে দাবী অনেকেরই। তবে শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে বৈঠকে আদৌ জিতেন্দ্র তিওয়ারির মানভঞ্জন হয় কিনা সে দিকেই নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!