এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > হঠাৎ করে বড়সড় রদবদল তৃণমূলে, পদ গেল বহু হেভিওয়েটের, ক্ষোভে ফুঁসছেন অপসারিতরা!

হঠাৎ করে বড়সড় রদবদল তৃণমূলে, পদ গেল বহু হেভিওয়েটের, ক্ষোভে ফুঁসছেন অপসারিতরা!


একদিকে করোনা ভাইরাস এবং অন্যদিকে আমপান মোকাবিলা চলছে। এই সময় সমস্ত রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ রেখেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে হঠাৎ করেই কৃষ্ণনগরের তৃণমূলের বিভিন্ন কমিটিতে রদবদল হতে দেখা গেল। যেখানে একাধিক নেতৃত্তের অপসারণ ঘটে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই অপসারিত ব্যক্তিদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ক্ষোভের সঞ্চার। সূত্রের খবর, শুক্রবার কৃষ্ণনগর জেলা কমিটিতে তৃণমূলের একাধিক পদে রদবদল হয়।

এছাড়াও একাধিক ব্লক এবং বিধানসভা কেন্দ্রের দলীয় কমিটিতেও বদল হতে দেখা যায়। যার মধ্যে রয়েছে নাকাশিপাড়া, চাপড়া এবং তেহট্টের মত ব্লকগুলো। অভিযোগ, জেলা কমিটিতে পুরনো অনেক মুখকে সরিয়ে নতুন মুখ আনা হয়েছে। আর হঠাৎ করেই বর্তমান পরিস্থিতিতে এই কমিটির বদল হওয়ায় এখন অপসারিত অনেকেই ক্ষোভে ফুসতে শুরু করেছেন। ইতিমধ্যেই এই বিষয় নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে দরবার করতে শুরু করেছেন তৃণমূলের স্থানীয় বিধায়ক এবং নেতৃত্বরা।

এই ব্যাপারে কৃষ্ণনগর জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে তারা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন বলেও খবর। আর এই ঘটনা নিয়েই রীতিমতো শোরগোল তৈরি হয়েছে কৃষ্ণনগর তৃণমূলের অন্দরমহলে। প্রসঙ্গত, অতীতেও কৃষ্ণনগরের সাংগঠনিক দায়িত্ব পেয়ে বেশকিছু রদবদল নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন মহুয়া মৈত্র। কিন্তু সেই সময়ে শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তা আর সম্ভব হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে এবার ভয়াবহ দুর্যোগের সময় হঠাৎ করেই বড়সড় রদবদল হয়ে যাওয়ায় পদ থেকে সরে যাওয়া নেতারা রীতিমত অবাক হয়ে গিয়েছেন। আর তাই তারা এখন দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এই ব্যাপারে অভিযোগ করতে শুরু করেছেন। আর সাংগঠনিক পরিবর্তন হওয়ায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অপসারিত নেতারা অভিযোগ করতে শুরু করায় তৃণমূলের অন্দরে জটিলতা বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন একাংশ।

এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের নদীয়া জেলার প্রাক্তন সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্ত বলেন, “কমিটি বদলের চিঠি পেয়েছি। তার কারণ কিছু জানি না। রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে দেখব।” কিন্তু কমিটি বদল হলেও দলের অনেক নেতৃত্ব তা জানেন না কেন? এদিন এই প্রসঙ্গে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি মহুয়া মৈত্র বলেন, “দলের অনুমোদন নিয়েই রদবদল করেছি। নতুন এবং পুরনোদের ভারসাম্য রেখে কাজ করতেই এই পরিবর্তন।”

তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “নতুন কমিটিতে প্রত্যেকটি ব্লকের প্রতিনিধিদের রেখেছি। কমিটি কেন শুধু কৃষ্ণনগরে আটকে থাকবে? মহিলা ও নতুন মুখ এনেছি। কেউ অসন্তুষ্ট হতেই পারেন। যাঁরা দায়িত্ব পেয়েছেন, তারা উৎসাহ হবেন।” তবে এই কমিটি বদল নিয়ে কৃষ্ণনগরে তৃণমূলের অন্দরে যে চাপানউতোর চলছে এবং গোটা পরিস্থিতি নিয়ে যে বিবাদ তৈরি হতে পারে, সেই ব্যাপারে আশঙ্কা করছে রাজনৈতিক মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!