সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যাকান্ড সুপরিকল্পিত হলেও, আসলে তা ‘কাঁচা হাতের’ কাজ? তদন্তে উঠে আসছে একাধিক দিক কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য February 11, 2019 রাজ্যের বর্তমান শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষ্ণগঞ্জের বিধায়ক তথা নদীয়া জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সত্যজিৎ বিশ্বাসকে কেউ বা কারা ‘পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ’ থেকে গুলি করে হত্যা করে দুদিন আগে। গুলি মাথার এফোঁড় ওফোঁড় হয়ে বেরিয়ে গেলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সত্যজিৎবাবুর। আর এই ঘটনায় কেঁপে গেছে গোটা রাজ্য-রাজনীতির মঞ্চই। কেননা, রাজ্যের শাসকদলের বিধায়ককে এইভাবে গুলি করে হত্যা করা – রাজ্যের ইতিহাসে নজিরবিহীন। আর এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমত উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজনীতির আঙিনায়। ঘটনায় প্রথম থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব আঙ্গুল তুলেছে বিজেপির দিকে, বিশেষ করে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের দিকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়, গৌরীশঙ্কর দত্ত, অনুব্রত মন্ডল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় – সকলেই প্রায় নাম করে বা না করে এই ঘটনায় মুকুল রায়ের হাত আছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন। পাল্টা দিয়েছেন মুকুল রায়ও – তাঁর বিরুদ্ধে এইভাবে অভিযোগ আনায় ইতিমধ্যেই তিনি গৌরীশঙ্কর দত্ত ও এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন – একইসাথে দাবি করেছেন নিরপেক্ষ তদন্তের। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে, এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি তদন্তে নেমেছে সিআইডিও। আর তদন্তে উঠে আসছে একাধিক দিক। তদন্তকারীদের মতে, ঘটনার দিন এলাকায় ঘনঘন লোডশেডিং হওয়া বা ঘটনাস্থলে বিধায়ক, রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি উপস্থিত থাকলেও অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা – যথেষ্ট ভাবাচ্ছে। তার উপরে, বিধায়ক খুন হয়েছেন এক অনুষ্ঠান মঞ্চের কাছে – স্থানটি যথেষ্ট জনবহুল হলেও, আততায়ী বা আততায়ীদের কেউ দেখতে পেল না বা ধাওয়া করল না কেন? পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করা হলেও বিধায়ক কিছু বুঝতে পারলেন না বা বাধা দিলেন না? তাহলে কি যে বা যারা খুন করেছে – তারা বিধায়কের পূর্ব পরিচিত? এই সূত্রগুলি দেখে তদন্তকারীদের ধারণা – এই হত্যা যথেষ্ট পরিকল্পিতভাবে হয়েছে। অন্যদিকে, ঘটনাস্থলের খুব কাছেই একটি ‘ওয়ান শর্টার’ পাওয়া গেছে – মনে করা হচ্ছে ওই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়েই সত্যজিৎবাবুকে হত্যা করা হয়েছে। খুন করে খুনের অস্ত্র অকুস্থলেই ফেলে পালালো কেন হত্যাকারী? এর পিছনে অন্য কোন কারণ আছে নাকি নেহাতই ‘কাঁচা হাতের কাজ’ বলে এই ঘটনা ঘটেছে? কেননা, অস্ত্রে আততায়ীর আঙুলের ছাপ দেখে সহজেই তাকে ধরা যেতে পারে! তবে সবথেকে বড় কথা, আততায়ী কোথায় গা ঢাকা দিয়ে আছে? তদন্তকারীদের মতে, যে অনুষ্ঠানের স্থানে বিধায়ক খুন হন তার লাগোয়া রাস্তা দিয়ে সহজেই বোর্ডের টপকে বাংলাদেশে চলে যাওয়া যায় – ফলে, সেখানে গিয়েও আততায়ী গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক অনুমান। সবমিলিয়ে, বিধায়ক হত্যায় একাধিক সূত্রের জালে ও একাধিক সম্ভাবনার মাঝে আটকে আছে আপাতত তদন্তকারীরা। আপনার মতামত জানান -