এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > স্বচ্ছ মুখেই বাজিমাত! এবার পুরভোটেও বহু তৃণমূল কাউন্সিলরের টিকিট কাটা যেতে চলেছে?

স্বচ্ছ মুখেই বাজিমাত! এবার পুরভোটেও বহু তৃণমূল কাউন্সিলরের টিকিট কাটা যেতে চলেছে?

লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক ধরাশায়ী হয়েছে। উত্তরবঙ্গের আটটি লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে আটটি আসনেই পরাজিত হতে হয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। যেখানে সাতটিতে ভারতীয় জনতা পার্টি এবং একটিতে জয়ী হয়েছে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। আর লোকসভায় উত্তরবঙ্গে বিজেপির উত্থানের পরেই রীতিমতো আতঙ্কিত হয়ে ওঠে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরমহল। উত্তরবঙ্গের নেতাদের কপালে দেখা যায় চিন্তার ভাঁজ।

ফলাফল পর্যালোচনা করতে গিয়ে চোখে পড়ে, রাজ্যের প্রায় বেশকিছু পৌরসভা এলাকায় লোকসভা নির্বাচনে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে স্থানীয় কাউন্সিলরদের ভাবমূর্তির বিরুদ্ধেই লোকসভা ভোটে তাদের জনমত ভোটবাক্সে জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। আর লোকসভায় এই ফলাফলের পরই হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়োগ করেন প্রশান্ত কিশোরকে।

আর দায়িত্ব নেওয়ার সাথে সাথেই দিদিকে বলোর মতো নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস দলকে সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ স্থাপন করাতে উদ্যোগী হন ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর। আর তৃণমূলের প্রশান্ত কিশোরের এই কর্মসূচি যে কিছুটা হলেও কাজে দিয়েছে, তা সদ্যসমাপ্ত রাজ্যের তিন বিধানসভা উপনির্বাচনের ফলাফলেই প্রমাণ হয়ে গেছে। যেখানে 6 মাস আগে বিজেপির প্রভাব থাকলেও এই উপনির্বাচনের ফলাফলে সেই ভারতীয় জনতা পার্টিকে হারিয়ে তিন জায়গাতেই ফুটে গিয়েছে ঘাসফুল।

এই পরিস্থিতিতে উপনির্বাচনে কিছুটা ভালো ফলাফল করার পর এখন পৌরসভা নির্বাচনের দিকে নজর দিতে চাইছে রাজ্যের শাসক দল। যেখানে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি এবং মানুষ যাকে চাইছে, তাকেই কাউন্সিলারের টিকিট দিতে চায় তৃনমূল কংগ্রেস। এক্ষেত্রে দলীয় স্তরে প্রশান্ত কিশোরের সমীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্ব পাবে বলে মনে করছে একাংশ। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ব্যাপারে ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়ে গেছে। জানা গেছে, জলপাইগুড়ি পৌরসভার নির্বাচনে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক কাউন্সিলর টিকিট নাও পেতে পারেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, 25 ওয়ার্ড বিশিষ্ট এই জলপাইগুড়ি পৌরসভায় বিগত পুর নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস 15, কংগ্রেস 5 এবং সিপিএম 5 টি আসনে জয়ী হয়েছিল। তবে পৌরসভায় বিজেপির একটি কাউন্সিলার না থাকলেও লোকসভায় প্রতিটি ওয়ার্ডে বিজেপি এগিয়ে থাকায় তৃণমূলের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল। কিন্তু উপনির্বাচনের তৃণমূল তিনে তিনটি আসন দখল করায় এখন পৌরসভা নির্বাচনেও যাতে রাজ্যের শাসক দল সাফল্য পায়, তার জন্য জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল কংগ্রেস তাদের রণনীতি সাজাতে শুরু করেছে।

সেক্ষেত্রে ভালো মুখকে এনে কাউন্সিলার টিকিট দিয়ে জলপাইগুড়ি পৌরসভা দখলে রাখতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। আর তাই ইতিমধ্যেই স্বজনপোষণ, দুর্নীতি যে সমস্ত কাউন্সিলরদের গ্রাস করেছে, তাদের ডানা ছেঁটে সেখানে নতুন কাউকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের সভাপতি কিষান কল্যাণী বলেন, “পুরসভার জন্য রাজ্য নেতৃত্ব পরিকল্পনা প্রস্তুত করছে। তারাই প্রার্থী নির্বাচন করবে। স্বচ্ছ ভাবমূর্তি যাদের আছে, তাদেরকেই টিকিট দেওয়া হবে।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজ্যের সদ্য সমাপ্ত 3 বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পেছনে অন্যতম কারণ, প্রার্থী বাছাই। করিমপুর, খড়গপুর এবং কালিয়াগঞ্জে 3 কেন্দ্রে তৃণমূল স্বচ্ছ মুখকেই প্রার্থী করেছিল। সেদিক থেকে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই তিন প্রার্থীর বিরুদ্ধে তেমন কোনো দুর্নীতির অভিযোগ তোলা যায়নি। স্থানীয় জনসাধারণ স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীদের সমর্থন করেছেন।

তাই সেদিক থেকে মানুষের সমর্থন পেতে গেলে পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর টিকিট যে ভালো লোকেদেরই দিতে হবে, তা এখন পরোতে পরোতে উপলব্ধি করছে রাজ্যের শাসক দল। ফলে জেলা নেতৃত্ব কাউন্সিলরের টিকিট স্বচ্ছ লোকদের দেওয়া হবে বলে জানালেও, বাস্তবে তা কতটা কার্যকরী হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। কিন্তু, স্বচ্ছ মুখ দিয়ে বিপুল ভোটে পিছিয়ে থাকা বিধানসভাতে হয়েছে উপনির্বাচনে। সুতরাং, এই স্বচ্ছ মুখে আরও বেশি করে জোর দেওয়া হবে না – কেউই জোর করে পারছেন না সেকথা!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!