এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কর্পোরেট ধাঁচে দল চালাতে এমন একজনকে দায়িত্ব, যাঁকে চেনেন না শীর্ষনেতারাই! তৃণমূলে গুঞ্জন!

কর্পোরেট ধাঁচে দল চালাতে এমন একজনকে দায়িত্ব, যাঁকে চেনেন না শীর্ষনেতারাই! তৃণমূলে গুঞ্জন!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূলে একাধিক সাংগঠনিক রদবদলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি বিভিন্ন জেলায় সংগঠনে পরিবর্তন করার পাশাপাশি সঠিকভাবে দল পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে শীর্ষ নেতৃত্বের পক্ষ থেকে। কোথাও সভাপতি, আবার কোথাও বা চেয়ারম্যান পরিবর্তন করে বিভিন্ন জেলার ক্ষেত্রে নানা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

আর এবার প্রতিটি জেলার ক্ষেত্রে মুখপাত্র নিয়োগ করল শাসক দল। ইতিমধ্যেই কোন জেলায় কে মুখপাত্র হয়েছেন, তার নাম জেলা নেতৃত্বের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ যারা সংগঠনের দায়িত্বে আছেন তারা যেমন দল সম্পর্কে বক্তব্য দিতে পারবেন, ঠিক তেমনই মুখপাত্র নিয়োগ করে তাদের দিয়ে দল সম্পর্কে বক্তব্য দেওয়াতে তৃণমূলের এই উদ্যোগ। কিন্তু বীরভূম জেলায় তৃণমূলের এমন একজনকে মুখপাত্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যাকে চেনেন না জেলা নেতারাই।

সূত্রের খবর, বীরভূম জেলায় তৃণমূলের মুখপাত্র হয়েছেন জামশেদ আলী খান। কিন্তু বীরভূম জেলা যেখানে অনুব্রত মণ্ডলের নখদর্পণে, সেখানে কেন এমন অচেনা অজানা একজন ব্যক্তিকে মুখপাত্রের মত পদ দেওয়া হল, তা নিয়ে দলের অন্দরে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন‌‌। অনেকে বলছেন, প্রশান্ত কিশোরের টিমের পরামর্শেই দলের তরফে এই জামশেদ আলী খানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “মুখপাত্রের ছবি দেখেছি। কিন্তু তাকে চিনতে পারছি না। এর আগে বীরভূমে দলের কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে তিনি যুক্ত ছিলেন কিনা জানা নেই। যেখানে সুবিধা অসুবিধার কথা তিনি জানেন না, সেখানে তিনি কি করে মুখপাত্র হয়ে কথা বললেন, তা নিয়ে ভাবার বিষয় রয়েছে।” অনেকে বলছেন, মুখপাত্র বিষয়টাকে সামান্য হিসেবে নিলেও এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদ।

দলের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে বক্তব্য রেখে সংবাদমাধ্যমের কাছে স্পষ্ট করাই এই মুখপাত্রের দায়িত্ব। যারা মুখপাত্রের পদে বসেছেন, তারা যদি দল সম্পর্কে অবহিত না হন, তাহলে বেকায়দায় পড়তে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। সেদিক থেকে বীরভূম জেলায় অচেনা-অজানা একজনকে মুখপাত্র করায় এখন রীতিমত অসন্তোষ তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি অভিজিৎ সিনহা মুখ খোলেন।

তিনি বলেন, “দলের নির্দেশ অনুযায়ী বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল চেয়ারম্যান আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, কো- অর্ডিনেটর আমি এবং সাংসদ অসিত মাল ছাড়া আর কেউ কোনো বিবৃতি দিতে পারবেন না। তবে মুখপাত্র নিয়োগ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেব না।”‌ সব মিলিয়ে বীরভূম জেলায় তৃণমূলের মুখপাত্র নিয়ে এখন যে দলের ভেতরে এবং বাইরে প্রবল অসন্তোষ তৈরি হয়েছে, সেই বিষয়টি স্পষ্ট রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের কাছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!