এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > PF-এ কেন্দ্র বড়সড় সুবিধা ঘোষণা করলেও বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কর্মচারী! বাড়ছে ক্ষোভ

PF-এ কেন্দ্র বড়সড় সুবিধা ঘোষণা করলেও বঞ্চিত হচ্ছেন রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কর্মচারী! বাড়ছে ক্ষোভ


দেশের করোনা সংকটের প্রাক্কালে এবার কল্পতরুর রূপ নিলো কেন্দ্রীয় সরকার। করোনা সংক্রমণের প্রভাবে দেশের অর্থনীতি যে ভেঙে পড়ার মুখে তা এই মুহূর্তে সকলেরই জানা। এই অবস্থায় যাতে বেসরকারি কর্মচারীদের আগামী দিনে প্রবল আর্থিক দুর্ভোগের মুখে পড়তে না হয়, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, তাঁদের তরফ থেকে তিন মাসের পিএফ দিয়ে দেওয়া হবে। দাবি করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের ছোট-বড়-মাঝারি শ্রমিকরা চরম আর্থিক দুর্গতির হাত থেকে কিছুটা হলেও নিষ্কৃতি পাবেন।

আগে থেকেই সরকার জানিয়েছে মার্চ-এপ্রিল এবং মে মাসের কর্মচারীদের বেতন থেকে পিএফ এর টাকা কাটা হবেনা। সেই টাকা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে কর্মচারীদের হয়ে পিএফ এর কিছুটা অংশ জমা করে কর্মদাতা সংস্থা। কেন্দ্রীয় সরকার এই সংস্থাগুলোকেও তিন মাসের জন্য এই দায়িত্ব থেকে ছুটি দিয়েছে। অবশ্য এই পুরো ব্যাপারটাই কিছু শর্তসাপেক্ষে করা হবে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, এ রাজ্যের 30 হাজারের বেশি সংস্থা এই সুবিধা পেতে পারে।

কিন্তু এখনো পর্যন্ত প্রায় 23 হাজার সংস্থা এই প্রকল্পের সুবিধা নেননি। যার ফলে আর্থিক সুবিধা থেকে প্রায় 5 লক্ষ কর্মচারী বা তার বেশি হবে তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই নতুন স্কিমটি সম্পর্কে একটু পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে সকল প্রতিষ্ঠানে 100 জনের কম কর্মী কাজ করেন, এবং তাঁদের মধ্যে 90% মাসে 15000 টাকার কম মাইনে যদি পান, তাহলে তিন মাসের জন্য তাদের বিএফ এর সমস্ত খরচা দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।

যার জন্য সরকারের খরচ হতে চলেছে এ 5 হাজার কোটি টাকা জানা যাচ্ছে কর্মীদের বেতন এর 12 শতাংশ এবং কর্ম সংস্থান দেওয়া 12% মিলিয়ে মোট 24% পিএফ খাতে দিতে চলেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশ জুড়ে প্রায় 4 লক্ষ সংস্থা এবং সেখানে কর্মরত প্রায় 80 লক্ষ কর্মচারী প্রবল আর্থিক সুবিধা প্রাপ্ত হবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে এ রাজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে পিএফ কর্তারা জানিয়েছেন, এই সুবিধা চলার কথা মার্চ থেকে মে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে মার্চ মাসের পিএফ এর টাকা 15 ই এপ্রিল জমা করার কথা হয়েছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে তা বাড়িয়ে 15 ই মে পর্যন্ত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শিল্প সংস্থাগুলি টাকা পেমেন্ট না করেই যাতে সমস্ত সুবিধা পান সে ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এখনো পর্যন্ত মাত্র 7200 সংস্থা এই সুবিধা গ্রহণ করেছেন। তার ফলে মোটে এক লক্ষ কর্মচারী কেন্দ্রীয় সরকারের সুবিধা গ্রহণ করতে পেরেছেন কিন্তু 5 লক্ষেরও বেশি কর্মী এখনো পর্যন্ত এই সুবিধা পাননি। অন্যদিকে, ইপিএফ ও আঞ্চলিক অফিসের পিএফ কমিশনার নব্যেন্দু রায় জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনায় কর্মদাতা সংস্থার তরফ থেকে শুধুমাত্র যদি বেতনের 0.5 শতাংশ অ্যাডমিশন চার্জ এবং 0.5 শতাংশ বিমার প্রিমিয়াম দিলেই এই সুবিধা পাওয়া যাবে জানা গেছে।

বেতনের 24 শতাংশ টাকা তিন মাস ধরে কেন্দ্রীয় সরকার মেটাবে। এ প্রসঙ্গে আরপিএফসি ওয়ান নব্যেন্দু রাই জানিয়েছেন ‘আমাদের ধারণা শুধু ওয়াকিবহাল না থাকার কারণে বহু সংস্থা এখনো এই সুযোগ নিতে পারছে না। 15 ই মে এর মধ্যে তাঁরা তৎপর হলেই বিরাট অংকের আর্থিক সুবিধা পাবে তাঁরা।’ জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন কর্মকর্তা সংস্থা এবং কর্মীদের যাতে এই সুবিধা গ্রহণ করতে কোন রকম অসুবিধা না হয় তার জন্য নিয়ম যথেষ্ট শিথিল করা হয়েছে।

অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, লকডাউন চলাকালীন প্রত্যেকেই প্রবল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার যদি কর্মদাতা সংস্থা এবং শ্রমিকদের সুবিধার্থে আর্থিক প্যাকেজ চালিয়ে নিয়ে যান এইভাবে, তাহলে খুব স্বাভাবিক ভাবেই সাধারণ মানুষ অত্যন্ত উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। লকডাউন এর সময় প্রত্যেকেরই টাকার দরকার, তাই বেতনের টাকা কাটা না হলেই খুব স্বাভাবিক ভাবেই শ্রমিকদের সুবিধা হবে- সে কথা নিঃসন্দেহে বলা চলে। আপাতত আর্থিক পরিস্থিতিকে আয়ত্তে আনতে কেন্দ্রীয় সরকার আগামী দিনে নতুন কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন তার দিকে নজর রাখবে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!