একদিকে বাঁ পায়ের যাদু, অন্যদিকে চূড়ান্ত বিতর্ক! সিনেমাকেও হার মানাবে মারাদোনার চমকপ্রদ জীবন অন্যান্য আন্তর্জাতিক খেলা November 26, 2020 আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে। আপনার মতামত জানান - প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ডিয়েগো ডিয়েগো! একটা সমোচ্চারিত চিৎকার, একদল ঔৎসুক চোখ, আর অগুনতি মানুষের ভালোবাসা। এই সবকিছুর নেপথ্যে শুধু একটা মানুষ, আর তিনি হলেন মারাদোনা। এক বর্ণময় জীবন যার সঙ্গী। অন্যদিকে জীবনের ক্যারিয়ারে যিনি দেখেছেন একের পর এক ওঠাপড়া। সেই তিনিই সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে বিদায় নিয়েছেন গতকাল। তবে কেমন ছিল তাঁর ক্যারিয়ার থেকে ব্যক্তিগত জীবন? ফিরে দেখা যাক! আর্জেন্তিনোস জুনিয়র্স এ তাঁর ফুটবলে পায়েখড়ি। সময়টা ছিল ১৯৭৬ সাল। যদিও সেইসময় বিশ্বকাপে তাঁকে দলে রাখেননি কোচ লুই সিজার মেনোত্তি। ফলে অভিমানে ভেঙে পড়েন তিনি। কিন্তু খেলার জেদ ছাড়েননি তিনি। ১৯৮২ সালে স্পেন বিশ্বকাপে তাঁকে নিষ্প্রভ করার জন্য ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ ফুটবল খেলতে বাধ্য হয় প্রতিপক্ষ। সেইসময় ব্রাজিলের বিরুদ্ধে লাল কার্ড দেখলেও মেক্সিকো বিশ্বকাপে সম্পূর্ণ অন্য এক ফুটবলারকে সামনে আসতে দেখা যায়। শেষমেষ ডিফেন্ডারদের কঠিনতম চ্যালেঞ্জকে এড়িয়ে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য স্পর্শ করতে সফল হন তিনি। এরপর ৮৭’তে নাপোলিকে প্রথমবার সিরি ‘এ’ শিরোপা উপহার দিয়ে সুখের মুখ দেখেন তিনি। শুরু হয় জীবনের সাফল্যের অধ্যায়। এরপর তিন বছর পর আবারও মারাদোনার পায়ের স্পর্শে সেরার শিরোপা পায় ইতালির ক্লাব। তখন থেকেই নাপোলির সমর্থকদের চোখে এই আর্জেন্তাইন তারকার ‘ঈশ্বর’ হয়ে ওঠা। অন্যদিকে তাঁর অধঃপতনও শুরু হয়ে গিয়েছে ততদিনে। ১৯৯০ বিশ্বকাপে দুর্বল দল নিয়েও ফাইনালে জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে দ্বিতীয় বিশ্বকাপ ছোঁয়ার স্বপ্নভঙ্গ হয় তাঁর। সেইসময় তাঁকে শিশুর মতো অঝোরে কাঁদতে দেখেছিল গোটা বিশ্ব। এরপর ১৯৯১ সালে ইতালিতে কোকেন নিতে গিয়ে ধরা পড়েন রাজপুত্র। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এরপর ১৫ মাসের জন্য নির্বাসন নিতে হয় তাঁকে। সেই সঙ্গে শেষ হয়ে যায় মারাদোনার নাপোলি অধ্যায়। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ডোপ টেস্টে ধরা পড়ায় আবারও প্রতিযোগিতা থেকে নির্বাসিত হন তিনি। ওই বছরেই বাড়ির সামনে এক সাংবাদিককে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে ২ বছর ১০ মাস কারাদাণ্ডে থাকতে হয় তাঁকে। এককথায় তাঁর জীবন ছিল বর্ণময়। সিনেমার মত অবিশ্বাস্য। তাঁকে বিশ্ব দেখেছে একাধারে বেপরোয়া, প্রতিভাবান, আগ্রাসী, অনুগত বন্ধু, নির্দয় শত্রু এই নানা রূপে। অন্যদিকে, ক্যারিয়ার জীবনে মারাদোনা সর্বদাই ফুটবলভক্তদের জন্য তীব্র আকর্ষণীয় চরিত্র ছিলেন। যেখানে তাঁর জনপ্রিয়তার একটা উদাহরণ দিতে গিয়ে উল্লেখ করা যায় প্রখ্যাত এক ক্রীড়া সাংবাদিকের লেখার। যেখানে তাঁকে লিখতে দেখা গিয়েছিল, ১৮ বছর বয়সে মারাদোনা আফ্রিকায় নেমে ঠিকমতো হাঁটতে পারেননি। কারণ তাঁকে একবার দেখার জন্য জনজোয়ার বয়ে গিয়েছিল রানওয়েতে। বিমান আটকে গিয়েছিল। অন্যদিকে এই বিপুল জনপ্রিয়তাই হয়ত তাঁকে বারবার বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিয়েছিল। খেলার পর মাদকে ডুবে থাকতে ভালোবাসতেন তিনি। মাঠ হোক কি জীবন, কপিবুক মানতেন না কোথাও। যদিও সেখান থেকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার লড়াইও চালিয়েছেন তিনি। যদিও কখনও ফিরে আসতে পারবেন ভাবিনি। কিন্তু অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছিল রাজপুত্র। যা ঈশ্বরের আশীর্বাদ ছাড়া সম্ভব ছিল না। একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – # মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – # মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল – # উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল – # জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল – # আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল – # কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল – আপনার মতামত জানান - আপনার মতামত জানান -