এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > মাসে 15000 টাকা মাইনে, সঙ্গে থাকা খাওয়া ফ্রি! এমন লোভনীয় সরকারি চাকরির লোক নেই বাংলায়!

মাসে 15000 টাকা মাইনে, সঙ্গে থাকা খাওয়া ফ্রি! এমন লোভনীয় সরকারি চাকরির লোক নেই বাংলায়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে লকডাউনের কারণে অনেক মানুষই তাদের কাজ হারাতে বসেছেন। অর্থনৈতিক রুজি রোজগারের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিভাবে সংসার চলবে, তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন সকলে। আর এই পরিস্থিতিতে 15 হাজার টাকা ভাতা সহ থাকা খাওয়া ফ্রি রয়েছে একটি চাকরিতে। কিন্তু সেই চাকরি করার সঠিক লোক নেই বাংলায়। হয়ত এটা শুনে অনেকেই আঁতকে উঠেছেন। কিন্তু এই চাকরির যোগ্যতার বিষয়টি একটু অন্যরকম। জানা গেছে, করোনা ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়ে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের জন্যই এই সুযোগ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কলকাতার পথে হেঁটেই সম্প্রতি পশ্চিম বর্ধমানের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করণা ওয়ারিয়র্স গ্রূুপ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। যেখানে ঠিক করা হয় যে, জেলার যে সমস্ত বাসিন্দারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সহজে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাদের এই গ্রূুপে শামিল করা হবে। মূলত, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী এবং তাদের আত্মীয়দের মনোবল বাড়ানোর জন্যই এই গ্রূুপের সদস্যরা কাজ করবেন বলে ঠিক করা হয়েছিল। বিভিন্ন জায়গায় কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলেই তাদের সামাজিক ভাবে বয়কট করার প্রবণতা দেখা দিতে শুরু করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ফলে সেই সমস্ত জায়গায় গিয়ে যারা দ্রুত সুস্থ হয়ে করোনা ভাইরাসকে হারিয়ে জয়লাভ করেছেন, তাদের পক্ষ থেকে সচেতনতা প্রদান করাই হবে মূল কাজ। আর এই কারনেই 15000 টাকা মাসিক ভাতার পাশাপাশি তাদের থাকা খাওয়া ফ্রি করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু এমন চমকপ্রদক ঘোষণা হওয়া সত্ত্বেও, অনেকেই এই কাজ করতে সঠিকভাবে সাড়া দিচ্ছেন না। কিন্তু কেন এত চমকপ্রদ ঘোষণা হওয়া সত্ত্বেও, এই কাজে সাড়া দিচ্ছেন না করোনা যোদ্ধারা?

একাংশ বলছেন, অনেকেরই আশঙ্কা রয়েছে, একবার করোনা ভাইরাস হলে যে দ্বিতীয়বার তা হবে না, এমনটা নিশ্চিত নয়। তাই যারা ইতিমধ্যে করোনা ভাইরাসকে জয় করেছেন, তারা আর সচেতনতা মূলক কাজে নামতে চাইছেন না। তাই জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগকে ফিরিয়ে দিচ্ছেন অনেকেই। যার ফলে তৈরি হয়েছে সমস্যা।

লকডাউনের মুহূর্তে মানুষ চরম সমস্যায় থাকলেও, জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগ নিয়ে করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে আশার আলো তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাদের সচেতনতামূলক এই কাজে ঠিক মত সাড়া মিলছে না যে শুধুমাত্র করোনা আতঙ্কের জন্য, তা কার্যত স্পষ্ট। যার ফলে পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ সম্পূর্ণরূপে ভেস্তে যাচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!