এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > মাসের প্রথম দিনেই অফিস যেতে গিয়ে নাকাল অফিসযাত্রীরা, পর্যাপ্ত বাস না থাকায় চরম ভোগান্তি

মাসের প্রথম দিনেই অফিস যেতে গিয়ে নাকাল অফিসযাত্রীরা, পর্যাপ্ত বাস না থাকায় চরম ভোগান্তি


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্য জুড়ে লকডাউন ছিল এতদিন। অফিস কাছারিও বন্ধ ছিল সেই অনুযায়ী। কিন্তু 1 লা জুলাই থেকে লকডাউনে বেশ কিছু শিথিলতা এসেছে। অফিস কাছারিও খুলেছে 50% কর্মচারী নিয়ে। খুব স্বাভাবিকভাবেই আজ রাস্তায় ঢল নেমেছে নিত্যযাত্রীদের। কিন্তু অফিস পৌঁছাতে গেলে যে পরিবহণের প্রয়োজন, তার দেখা কিন্তু মিলছে না। এই নিয়েই ক্ষোভ বাড়ছে নিত্যযাত্রীদের। ইতিমধ্যেই বেসরকারি বাস কর্তৃপক্ষ ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে বাস চালাতে নারাজ। স্বাভাবিকভাবেই মাসের প্রথম দিন চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে অফিস যাত্রীদের। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি এবং বেসরকারি অফিস 50% কর্মী নিয়ে শুরু করার কথা বলেছিলেন।

সেসময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, বেসরকারি সংস্থার কর্মীদের যাতায়াতের বন্দোবস্ত করতে হবে সংস্থাকেই। কিন্তু বহুক্ষেত্রে বেসরকারি কর্মীরা জানাচ্ছেন, তাদের সংস্থা এ ধরনের কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। পাশাপাশি কর্মীদের বেতনে কোপ পড়েছে লকডাউনকালীন। অতএব অফিস পৌঁছাতে গেলে হয় বেসরকারি বাস, না হলে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে অ্যাপ ক্যাবের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য জানিয়েছিলেন, পয়লা জুলাই থেকে বেসরকারি এবং সরকারি বাস রাস্তায় নামবে। তবে সেক্ষেত্রে 50% যাত্রী অধিগ্রহণ করতে পারবে তাঁরা। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাস্তায় বেরোলে কার্যত বিপরীত ছবি চোখে পড়ে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শ্যামবাজার থেকে ধর্মতলা, কিংবা মৌলালি কোথাও দেখা নেই বেসরকারি বাসের। জেলার রাস্তার অবস্থাও তথৈবচ। সেক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির ফলে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে অনড় বেসরকারি বাস মালিক সংগঠন। সরকারী বাসের দেখা মিললেও সেখানে ছিল ঠাসাঠাসি ভিড়। যাত্রীদের একাংশের অভিযোগ, যাত্রী সংখ্যার তুলনায় সরকারি বাসের পরিমাণ কম। ফলস্বরূপ মাসের শুরুতেই পকেট থেকে বেরোচ্ছে একগাদা টাকা অ্যাপ ক্যাবের বুকিংয়ে।

অন্যদিকে মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, যাত্রী ভোগান্তি দূর করার জন্য সমস্ত সরকারি বাস রাস্তায় নামানো হবে। পাশাপাশি বেসরকারি বাস কর্তৃপক্ষকেও আবেদন করেছেন তিনি যাত্রী ভোগান্তি দূর করার। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনো কাজ হবে বলে মনে হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞ ও নিত্য যাত্রীদের একাংশের মত, ট্রেন চললে এই অসুবিধা অনেকাংশে কমে যাবে। আপাতত নিত্যযাত্রীদের ভিড় সামলাতে রাজ্য সরকার পরিবহণের জন্য নতুন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে কিনা, সে দিকেই নজর এখন সবার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!