এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মাস্ক না পেয়ে চরম বিক্ষোভ স্বাস্থ্যকর্মীদের, জোর চাঞ্চল্য!

মাস্ক না পেয়ে চরম বিক্ষোভ স্বাস্থ্যকর্মীদের, জোর চাঞ্চল্য!

করোনা ভাইরাসকে আটকানোর জন্য ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষ যাতে বাইরে না বেরোয়, তার জন্য লকডাউন করে দেওয়া হয়েছে গোটা দেশ। তবে বিভিন্ন জায়গাতেই নিরাপত্তার জন্য করোনা ভাইরাসকে আটকাতে মাস্ক এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে না বলে অনেক অভিযোগ উঠেছে। আর এবার আরামবাগ সরকারি হাসপাতালে মাস্ক না পেয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করলেন চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা। যা নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে সেখানে। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বহুবার এই হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা মাস্কের কথা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানালেও, এখনও পর্যন্ত তা মেলেনি।

আর তা নিয়েই এদিন ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তারা। এদিন এই হাসপাতালের অধিকাংশ নার্স তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকারি একটা মাস্ক আমরা চার থেকে ছয় দিন ব্যবহার করছি। অথচ আমাদের ছয় ঘণ্টা অন্তর বদলানোর কথা। কিন্তু হাসপাতাল মাস্ক না থাকায় বাধ্য হয়ে জেনে-বুঝেও আমরা নিজেদের বিপদ ডেকে আনছি। আমরাও সমস্যার কথা একাধিকবার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানিয়েছি। কিন্তু তারা আমাদের সাফ জানিয়ে দিয়েছে, সরবরাহ না থাকায় এই মাস্ক আমাদের দীর্ঘদিন ব্যবহার করতে হবে। সরকারের তরফে স্বাস্থ্য কর্মীদের ভূমিকা নিয়ে বাহবা দেওয়া হলেও, আমাদের নিরাপত্তার জন্য নূন্যতম সামগ্রী মিলছে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একইভাবে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এই হাসপাতালের চিকিৎসকরাও। এদিন এই প্রসঙ্গে ডাক্তার মধুময় আড়ি বলেন, “করোনা আক্রান্ত রোগীদের সংস্পর্শে যাওয়ার জন্য নূন্যতম n-95 মাস্ক প্রয়োজন। কিন্তু সেই মাস্ক দূরে থাক, সাধারণ মাস্ক আমরা পাচ্ছি না। সবকিছু জানা সত্ত্বেও আমরা নিরুপায়। প্রশাসন এই বিষয়ে বাড়তি নজর দিলে হয়ত মাস্কের সমস্যা মেটানো সম্ভব।” কিন্তু যেখানে সরকারের তরফে প্রয়োজনীয় সমস্ত সামগ্রী স্বাস্থ্যকর্মীদের দেওয়া হবে বলে জানানো হচ্ছে, সেখানে কেন আরামবাগ হাসপাতালে এই অবস্থা?

এদিন এই প্রসঙ্গে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তথা অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সিদ্ধার্থ দে। তিনি বলেন, “কোনো ডাক্তার এবং নার্সের যদি মাস্কের প্রয়োজন হয়, তাহলে সরাসরি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করছেন চিকিৎসকরা, তাতে তাদের নিরাপত্তা জোরালো করা অত্যন্ত দরকার। কিন্তু যেভাবে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে এই ব্যাপারে দুর্বলতা চোখে আসল, তাতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় কেন খামতি দেখা যাচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন সকলেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!