মাস্ক-সামাজিক দূরত্ব চুলোয়! আনলক-১ শুরু হতেই মন্দিরে হামলে পরে পুজো! সংক্ৰমন ঠেকাবেন ঈশ্বরই! জাতীয় রাজ্য June 1, 2020 করোনা আক্রান্তের নিরিখে শনিবার রেকর্ড সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রামিতের। অন্যদিকে করোনা নিয়ে রেকর্ড করার দিনেই লকডাউন এর প্রভাবে নাভিশ্বাস ওঠা অর্থনীতিকে কিছুটা অক্সিজেন যোগাতে ইতিমধ্যে আনলক ওয়ান এর ফর্মুলা ঘোষণা করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী জানা গেছে, শুধুমাত্র কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে 30 শে জুন অবধি লকডাউন বহাল থাকবে। কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে ধাপে ধাপে স্বাভাবিক হবে জনজীবন। এই অবস্থায় নতুন করে দোলাচলে দুলতে শুরু করেছে জনসাধারণ। অন্যদিকে আনলক ওয়ান ঘোষণার সাথে সাথেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্মস্থানের দরজা খুলে দিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছে। আনলক ওয়ান হবার ফলে কনটেইনমেন্ট জোন ছাড়া প্রায় সর্বত্রই বিধি-নিষেধ অনেকটাই শিথিল। তবে আনলক ওয়ান হলেও মাস্ক এবং সামাজিক দূরত্বের বিধি নিষেধ মানতে বলা হচ্ছে সবাইকেই। এদিকে দীর্ঘদিন পর সাধারণ মানুষ বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাচ্ছে। এবং এই মুক্তির কারণেই করোনার কথা অনেকেই ভুলে গেলেন। মাস্ক ছাড়াই বিভিন্ন মন্দিরে জমায়েত হতে দেখা গেছে এদিন বেশিরভাগ মানুষকে। এমনকি সামাজিক দূরত্ব বিধি হেলায় উড়িয়ে দিয়েছেন অনেকেই। সোমবার সকালে কলকাতার বেশ কয়েকটি মন্দির খুলে দেওয়া হয়। সেখানে অনেকেই ভিড় জমিয়েছেন দশহরা পুজোর কারণেই। অন্যদিকে আহিরীটোলা ঘাট এবং বাগবাজার ঘাটেও করোনার নিয়ম বিধি শিকেয় তুলে ভিড় জমিয়েছেন অনেকেই। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ঘোষণা করে দেন পয়লা জুন থেকে রাজ্যের ধর্মীয় স্থান গুলি খুলে দেওয়া হবে সাধারণের জন্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও এই ঘোষণার সাথেই শুরু হয় রাজ্যজুড়ে বিতর্ক। অন্যদিকে কেন্দ্রের আনলক ওয়ান নিয়মের মধ্যে ধর্মস্থান খোলার কথা উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে মুখ্যমন্ত্রী ধর্মস্থান খোলার সাথে সাথে নির্দেশ দিয়েছিলেন, মাত্র 10 জন করে মন্দিরে ঢোকা যাবে এবং সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে সামাজিক বিধিনিষেধ। এমনকি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশও দেওয়া হয় সরকারি পক্ষ থেকে। তবে নিয়মবিধি না মানলে অচিরেই ধর্মস্থানের দরজা যে বন্ধ করে দেওয়া হবে তাও জানাতে ভোলেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আনলক ওয়ানের প্রথম দিনেই দেখা গেল নিয়ম ভাঙার খেলা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ সত্ত্বেও সোমবার কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বর এবং তারাপীঠের দরজা বন্ধ ছিল সাধারণ মানুষের জন্য। এমনকি বর্ধমানের সর্বমঙ্গলা মন্দিরের দরজাও দর্শনার্থীদের জন্য খোলা হয়নি বলে জানা গেছে। করোনার কারণে প্রায় দুমাস লকডাউন। এরপর শনিবার সবে আনলক ওয়ান এর বিধি নিয়ম প্রকাশ করা হয়েছে সরকারিভাবে। তবে আনলক ওয়ান নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশেষজ্ঞদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সিদ্ধান্ত নিয়ে তীব্র আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, সম্প্রতি যেভাবে করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সেখানে এভাবে হঠাৎ করে বিধিনিষেধ শিথিল করলে পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর দিকে যাবে। এবার দেখার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আনলক ওয়ানের বিধি নিষেধ সাধারণ মানুষ মেনে চলতে পারে নাকি এবার সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দৌড় দিতে শুরু করবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। অন্যদিকে রাজ্যে ধর্মস্থান খোলা নিয়েও বিরোধী মহলে শুরু হয়েছে তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ। আপনার মতামত জানান -