প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিভিন্ন সময়ে জঙ্গলের প্রাচুর্য সম্পদ চুরি করার অভিযোগ উঠেছে। তৎপরতা গ্রহণ করার কথা বলেও রাজ্য সরকার বা বনদপ্তরের পক্ষ থেকে তেমন সদর্থক পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। যার ফলে তৈরি হয়েছে সমস্যা। এক্ষেত্রে জঙ্গলের বহু মূল্যবান গাছ থেকে শুরু করে সেই গাছ কেটে কাঠ অবাধে পাচার হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ আসতে শুরু করেছিল। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই এই দিকে মনোযোগী হয়ে উঠেছিলেন রাজ্যের বর্তমান সরকারের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর এবার রীতিমতো বৈঠক করে সেই ব্যাপারে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়ে দিলেন তিনি। যার ফলে কিছুটা হলেও আশার আলো দেখতে শুরু করেছে বন দপ্তরের আধিকারিকরা।

সূত্রের খবর, এদিন রাজ্যের বনদপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। আর সেখানেই যেভাবে চোরা চালানকারীরা একাধিক বনাঞ্চলকে কেটে নিয়ে চলে যাচ্ছে, তা আটকানোর ব্যাপারে আলোচনা করা হয়। অর্থাৎ এতদিন চোরা চালানকারবারিরা জঙ্গলের গুরুত্বপূর্ণ গাছ কেটে সেই কাঠ নিয়ে চলে যেত। যার ফলে কাঠ মাফিয়াদের বাড়বাড়ন্ত তৈরি হওয়ার ফলে যাদের কাঠ কেনার প্রয়োজনীয়তা আছে, তারা সেই কাঠের যোগান পেতেন না। ফলে তৈরি হত সমস্যা। তাই এই ব্যাপারে প্রতিদিন অকশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য বনদপ্তর।

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, “উত্তর থেকে দক্ষিণ রাজ্যের একাধিক জায়গায় বনদপ্তরের যে সমস্ত মূল্যবান গাছ পড়ে আছে, সেখানে মূল্যবান যতগুলো কাজ আছে, সেগুলো প্রতিমাসেই অকশন করা হয়।” তবে মাফিয়ার সময় নিজেদের ক্ষমতা প্রয়োগ করার কারণে অনেকে সেখানে অংশগ্রহণ করতে পারে না। যার ফলে একটা বড় মাফিয়া চক্র এর পেছনে কাজ করে। তাই সেই সমস্ত জায়গায় এবার বন দপ্তরের যে যথেষ্ট তদারকি থাকবে, তা জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এক্ষেত্রে সকাল ন’টা থেকে ই অকশন শুরু করা হবে এবং প্রতি সপ্তাহে তিন দিন প্রায় পাঁচ বার করে তা করা হবে বলে খবর। স্বাভাবিকভাবেই মাফিয়া চক্র আটকানোর জন্য বনমন্ত্রীর এই নয়া পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।