এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মসজিদের জায়গায় হয়েছে মন্দির! মুসলিমদের বিজেপি সঙ্গ ত্যাগের নির্দেশ বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের

মসজিদের জায়গায় হয়েছে মন্দির! মুসলিমদের বিজেপি সঙ্গ ত্যাগের নির্দেশ বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বারবার বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, সংখ্যালঘুদের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে বিজেপি সরকার সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। শুধু তাই নয়, বিজেপির গৈরিকীকরণ নীতি ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে নষ্ট করছে বলেও অভিযোগ তুলে সরব হতে দেখা গেছে বিরোধীদের। স্বাভাবিক ভাবেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই মন্তব্য যখন করা হয়, তখন অস্বস্তিতে পড়ে ভারতীয় জনতা পার্টি।

আর এবার বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এবং দক্ষিণপন্থী সংগঠনগুলোর সাথে মুসলমানদের যোগাযোগ বন্ধ করার আর্জি জানাল বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা ঘটনায় এখন বিজেপি ঘনিষ্ঠ সংঘ পরিবার যে ব্যাপক চাপে পড়ল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আর এই গোটা প্রভাব যে বিজেপির ওপর পড়বে, সেই ব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

সূত্রের খবর, এদিন বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহম্মদ ইয়াহিয়ার পক্ষ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়‌। যেখানে বলা হয়, “বর্তমানে বিজেপির অবস্থান ইসলাম বিরোধী এবং মুসলিম বিরোধী। তাই যেসব মুসলিম এইসব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বা যোগাযোগ রয়েছে, তারা যেন তা বন্ধ করে দেন। মসজিদের জায়গায় একটি মন্দির স্থাপন করা হয়েছে এবং সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এটা থেকে পরিষ্কার বিজেপি মুসলিমদের বন্ধু নয়। তাই এই মুসলিম বিরোধীদের সঙ্গে যেসব মুসলিম থাকবেন, মুসলিম সমাজ তাদেরকে মুসলমান বলে গণ্য করবে না। তারা সিদ্ধান্ত নিক, তারা বিজেপি বা আরএসএসের সঙ্গে থাকবে, নাকি ভুল স্বীকার করে মুসলিম সমাজের মূল স্রোতে ফিরে আসবে! তবে মনে রাখতে হবে, আগামী দিনে তাদের পরিবারকে বাঁচানোর জন্য মুসলিম সমাজকে পাশে পাবে না।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অর্থাৎ বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশন তাদের এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশের উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করল, যারা বিজেপি ঘনিষ্ঠ মঞ্চগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে, তাদের পাশে সংগঠন কোনোমতেই থাকবে না। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় গেরুয়া শিবির যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সমর্থন পাওয়া থেকে অনেকটাই অসুবিধেই পড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

এদিকে বেঙ্গল ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের এই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সব মিলিয়ে সংখ্যালঘুদের নিয়ে বিজেপির চাপ যে ক্রমশ বাড়তে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!