প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল রাতে কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গায় বিজেপি কর্মীদের মারধর, এরপর কোচবিহার জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ বর্মনকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ মাথাভাঙ্গা থানা ঘেরাও কর্মসূচি গ্রহণ করে বিজেপি। বিজেপির মিছিলে হামলা চালায় তৃণমূল। সবকিছু নিয়ে রণক্ষেত্র বাধে এই শহরে।

আজ মাথা ভাঙ্গায় বিজেপি থানা ঘেরাও কর্মসূচিতে যোগদান করেছিলেন কোচবিহার জেলা বিজেপি সভানেত্রী মালতি রাভা রায় সহ বেশকিছু বিজেপি নেতৃত্ব। মাথাভাঙা শহরে একটি মিছিল করে থানার দিকে এগোয় বিজেপি। অভিযোগ উঠেছে সেই মিছিলে তৃণমূল হামলা চালায়। মিছিলে বোমাবাজি করা হয়। বিজেপি অভিযোগ করেছে, বোমা বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন একজন বিজেপি কর্মী। বিজেপিও তৃণমূল কর্মীদের পাল্টা মারতে শুরু করে।

তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের একটি অফিসে বিজেপি ভাঙচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেইসঙ্গে এলাকায় বেশ কিছু মোটরবাইক ভাঙচুর করেছে বিজেপি। দীর্ঘক্ষন ধরে থানা ঘেরাও করে রাখে বিজেপি। শেষ পর্যন্ত তৃণমূল ও বিজেপি দলের সদস্যদের এলাকা থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ। এখন এলাকার পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত রয়েছে।

এই ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানালেন যে, গতকাল কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ মহকুমার রামপুরে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী খালেদ মিঁয়াকে বিজেপির দুষ্কৃতীরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এই ঘটনাকে ধামাচাপা দিতেই বিজেপি গুলি গুলি খেলা শুরু করেছে। আজকের এই ঘটনা সম্পর্কে তিনি অভিযোগ করেছেন যে, আজ বিজেপির হার্মাদরা থানা ঘেরাওয়ের নাম করে উশৃংখল পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে মাথাভাঙ্গা শহরে।

অন্যদিকে মাথাভাঙ্গার এ ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, বিজেপিকে আটকানোর জন্য তৃণমূল কংগ্রেস সংঘর্ষের রাস্তা গ্রহণ করেছে। গত দু-তিন দিন ধরে বিশৃঙ্খলা তৈরি চেষ্টা করছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। ত্রাসের পরিস্থিতি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তিনি দাবি করেছেন, এছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই তৃণমূলের কাছে। এভাবে থানা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছিল। এখনও মাথাভাঙা শহরের বিভিন্ন স্থানে চলছে পুলিশের টহল।