এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মাথার দাম দেড় কোটি! গোয়েন্দা বিভাগকে স্বস্তি দিয়ে আত্মসমর্পন করতে চলেছেন কুখ্যাত এই মাওবাদী?

মাথার দাম দেড় কোটি! গোয়েন্দা বিভাগকে স্বস্তি দিয়ে আত্মসমর্পন করতে চলেছেন কুখ্যাত এই মাওবাদী?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড বর্ষীয়ান অপরাধী এবার করতে চলেছে আত্মসমর্পণ। ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ সেইসঙ্গে ছত্রিশগড় সিআরপিএফ এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে এবারে আত্মসমর্পণ করতে চলেছেন ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড অপরাধী মুপাল্লা লক্ষ্মণ রাও বা গণপতি। যিনি সিপিআই(মাওবাদী) দলের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক। যার মাথার দাম দেড় কোটি টাকা।

মাও নেতা গণপতির এই আত্মসমর্পণের খবরে গতকাল থেকে দেশজুড়ে শোরগোল শুরু হয়ে গেছে। বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির দু একজন নেতার সঙ্গে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও এই বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন আলোচনা করেছেন। এমনকি গণপতির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে পর্যন্ত করেছে করিমনগর জেলা পুলিস।

তবে মাওবাদী দলের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও বা বাসবরাজ তাদের প্রাক্তন সভাপতি মাও নেতা তাদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক গনপতিরর আত্মসমর্পণের বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মাওবাদীদের মধ্যে অনৈক্যের সৃষ্টি করতেই সরকার এমন মিথ্যে গল্প প্রচার করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী সংগঠনের অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, মাওবাদীদের মধ্যে সম্প্রতি অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রবল আকারে চলছে। মাওবাদী নেতা রাকেশ মারাণ্ডির মৃত্যুর পর সাঁওতাল পরগনা জেলার কমিটির অন্তর্গত গিরিডি-হাজারিবাগ কমিটিতে উপযুক্ত নেতৃত্বের অভাব তৈরী হয়। রঞ্জিত বোস বা তুফান ও রামান্না এই দায়িত্ব নিয়েও সমস্যার কোন সমাধান করতে পারেন নি। এই পরিস্থিতিতে মাওবাদীদের মধ্যে ব্যাপক আকারে বৃদ্ধি পায় অন্তর্দ্বন্দ্ব। এর ফলে বেশ কিছু মাওবাদী নেতা সরকারের কাছে আত্মসমর্পণ করতে ইচ্ছুক হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৭৪ বছর বয়সের মাওবাদী নেতা গণপতি দীর্ঘ সময় ধরে হাপানি, ডায়বেটিস, হাঁটুর ব্যথায় কাতর আছেন। শারীরিক অসুস্থতার জন্য ২০১৮ সালের শেষদিকে দলের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন তিনি। অসুস্থতার কারণে তিনি দলে তেমন একটা সক্রিয়ও নন একাণেই তিনি আত্মসমর্পণ করতে চান বলে গোয়েন্দা বাহিনী মনে করছে। তবে তাদের জাদরেল নেতার এই আত্মসমর্পকে কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছে না মাওবাদীরা।

মাওবাদী নেতা গণপতি প্রথম জীবনে জীবন বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। ১৯৭০ সে তাঁর কৃষক আন্দোলনে যোগদান, ১৯৭১ এ নকশাল আন্দোলন। মাওবাদী নেতা গণপতির চেষ্টাতেই ২০০৪ সালে সিপিআই (এমএল) পিপলস ওয়ার ও এমসিসি একত্রিত হয়ে তৈরী হয় মাওবাদী দল। তার সময়েই জঙ্গলমহলে কিষেণজির নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল লালগড় আন্দোলন। এবার অসুস্থতার কারণে আত্ম সমর্পন করতে চলেছেন তিনি ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!