এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ম্যাথু, CBI-এর মুখে কার্যত একই কথা! নারদ কাণ্ডে নাকি মুকুলের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণই নেই

ম্যাথু, CBI-এর মুখে কার্যত একই কথা! নারদ কাণ্ডে নাকি মুকুলের বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণই নেই


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  সোমবার তৃণমূলের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিধায়ক মদন মিত্র এবং প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আটক করেছে সিবিআই। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর মাঝে জামিন পাওয়ার ঘটনা সামনে এলেও পরবর্তীতে হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, সেই জামিনে স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই বুধবার পর্যন্ত প্রেসিডেন্সি জেলেই কাটাতে হবে এই চার হেভিওয়েটকে। মূলত নারদ কান্ডে ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা যাওয়ার কারণেই তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর।

তবে তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করার সাথে সাথেই রাজ্যজুড়ে ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, বিজেপিতে যাওয়ার কারণেই কি ভিডিও ফুটেজে টাকা নিতে দেখা যাওয়া মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারী ছাড় পেয়ে গেলেন! কেন শুভেন্দু অধিকারী বা মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা যাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে। তবে শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে নানা প্রশ্ন তোলা যতটা সহজ, মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে সেই প্রশ্ন তোলা ঠিক ততটাই সহজ!

সিবিআই এবং ম্যাথু স্যামুয়েলের বক্তব্যের পরে মনে করা হচ্ছে, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার সঠিক তথ্য প্রমাণ নেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। আর সেই কারণেই তার বিরুদ্ধে কোনো রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অপারগ তারা। বলা বাহুল্য, নারদ কান্ডে ভিডিও ফুটেজে সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতা, মন্ত্রী এমনকি সাংসদদের টাকা নিতে দেখা গিয়েছিল। ভিডিও ফুটেজে দেখা গিয়েছিল, বর্তমান বিজেপির বিধায়ক মুকুল রায় এবং বর্তমান রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

যেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে টাকা নিতে দেখা গেল স্বয়ং মুকুল রায়কে কোনো টাকা নিতে দেখা যায়নি। সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করার পরে ম্যাথু স্যামওয়েলের বক্তব্য থেকেও এমন কথাই উঠে এসেছে। যেখানে ভিডিও বার্তায় দেখা গিয়েছে, মুকুল রায় জানিয়েছেন যে, এই টাকা যেন আইপিএস অফিসার মির্জাকে দেওয়া হয়। অর্থাৎ স্বয়ং মুকুল রায় নিজের হাতে কোনো টাকা নেননি, ভিডিও ফুটেজে অন্তত সেটাই দেখা গেছে। আর সেই কারণে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যে সম্ভব হচ্ছে না সিবিআইয়ের ক্ষেত্রে, তা কার্যত পরিষ্কার। আর এই ঘটনাই এখন স্বস্তিতে রাখছে মুকুল রায়কে।

সিবিআইয়ের বক্তব্য, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে নারদ কান্ডে টাকা নেওয়ার কোনো প্রমাণ নেই। তাই তার বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করার কোনো অনুমোদন চাওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, সোমবার সকালে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়ক গ্রেপ্তার হওয়ার পরেই শাসক দলের পক্ষ থেকে প্রশ্ন ওঠে, শুধুমাত্র বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কারণেই কি মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে ছেড়ে দেওয়া হল? এমনকি মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হলে তারা তাদের প্রতিবাদ করে যাবেন বলেও জানিয়ে দেয় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বেলা যত বাড়তে থাকে, ততই মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে বিষয়টা পরিস্কার হতে শুরু করে। সিবিআই থেকে শুরু করে নারদ কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েলের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার হয়ে যায়, মুকুল রায়ের ক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এদিন এই প্রসঙ্গে নারদ কর্তা বলেন, “আমি শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করে 5 লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি মুকুলের সঙ্গে দেখা করলেও তিনি সরাসরি কোনো টাকা নিতে চাননি। তিনি মির্জাকে 15 লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলেছিলেন।” স্বভাবতই গোটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, দলের নেতা, মন্ত্রীরা গ্রেপ্তার হওয়ার পরে বিজেপিতে যাওয়া দুই নেতা প্রধান অস্ত্র ছিল তৃণমূলের কাছে। এক্ষেত্রে মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীর কথা তুলে ধরে সিবিআই যে পক্ষপাতিত্ব মূলক আচরণ করছে, তা তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল ঘাসফুল শিবির। তবে শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন থেকে গেলেও মুকুল রায়ের প্রশ্ন যে কিছুটা হলেও অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

সিবিআই থেকে শুরু করে নারদ কর্তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে পরিস্কার যে, মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তেমন কোনো টাকা নেওয়ার তথ্য প্রমাণ নেই। তাই তার বিরুদ্ধে সেভাবে পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল এই ঘটনাকে যতই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার করার চেষ্টা করুক না কেন, মুকুল রায়কে নিয়ে তৃনমূলের প্রশ্ন এবং হাতিয়ার যে কিছুটা হলেও ভোঁতা হয়ে গেল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!